ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

মেহেরপুরের গাংনীতে ভাঙ্গা ব্রীজে ভোগান্তি 

মেহেরপুর প্রতিনিধি 

প্রকাশিত : ১৭:৪৯, ২ নভেম্বর ২০২০

মেহেরপুর গাংনী উপজেলার বামন্দী ইউনিয়নের তেরাইল পশ্চিমাপাড়া-দেবিপুর সড়কে যাতয়াতের ব্রীজটি ভেঙ্গে যাওয়ায় তা মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। মারাত্বক ঝুকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে ব্রীজটি ব্যাবহারকারীদের। প্রয়োজনের তাগিদে স্থানীয়রা কিছু বাঁশ খুটি দিয়ে ব্রীজটি পায়ে হেটে চলাচলের উপযোগি করলেও সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেই এলজিইডি কর্তৃপক্ষের। বার বার আবেদন করেও সাড়া মিলছে না তাদের। বাধ্য হয়ে পায়ে হাটা পথচারী, সাইকেল, মোটরসাইকেল আরোহীরা ঝুঁকি নিয়েই ভাঁঙ্গা ব্রীজ পার হচ্ছেন। 

এ ছাড়া নানা ধরনের যাববাহন চালাচল, মাঠের ফসল সহ শাক সবজি উঠানো, সেই ফসল ও শাকসবজি বাজারে বিক্রি করার জন্য বামুন্দি ঘুরে যেতে হচ্ছে বাজারে। ফলে এক কিলোমিটার রাস্তা এখন সাত কিলোমটিার ঘুরে নিত্য দিনের প্রয়োজন মেটাতে হচ্ছে ওই এলাকাবাসির। ব্রীজটির কারনে যাতায়াতে ৫টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ এখন দুর্বিসহ জীবনযাপন করছে। দ্রুত ব্রীজটি সংস্কার করে যাতায়াত উপযোগি করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসি। 

স্থানীয়রা জানান, প্রায় ৩০ বছর পূর্বে ব্রীজটি নির্মাণ করা হয়। ব্রীজটি নির্মানাধীণ অবস্থায় মাটি ধসে দুজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়। তখন থেকেই এ ব্রীজটি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে মানুষের মাঝে আতংক রয়েছে। তারপরেও ব্রীজটি যাতায়াত উপযোগি থাকা কালিন মানুষ এখান দিয়েই যাতায়াত করতো। বছর দুই আগে ব্রীজটি ভেঙ্গে যাওয়ায় তা সংস্কার বা পূর্ণঃ নির্মাণে এলজিইডি উদ্যোগি না হওয়ায় গ্রামবাসি বাঁশ খুটি দিয়ে অতি প্রয়োজনীয় কাজ সারছে। তবে সারাক্ষণ দূর্ঘটনার ভয় তাড়া করছে ব্রীজটি দিয়ে যাতায়াত কারীদের। কৃষকদের নিকট পথের পরিবর্তে দুর পথ দিয়ে মাঠের ফসল ঘরে উঠাতে হচ্ছে। ব্রীজটি মরণফাঁদ জেনেও পার হচ্ছে এলাকবাসি। অনেক সময় ঝুকি নিয়ে এর মধ্যে মোটরসাইকেল ও স্যালো ইঞ্জিনচালিত যানগুলো পার হতে গিয়ে দূর্ঘটনার কবলে পড়ে অনেকেই পঙ্গুত্ব বরণ করেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মান্নান বলেন, ব্রীজটি ভাঙ্গাচোরা হওয়ার কারনে গাড়ী চলাচল করতে পারে না। ফলে মাঠের পচনশীল সবজি ও নষ্ট হওয়ার আশংকায় অনেক সময় অল্প টাকায় বিক্রি করে দিতে হয়। ক্ষেতের ফসল দুর পথ দিয়ে  বাজারে নিতে গিয়ে অতিরিক্ত গাড়ির ভাড়া গুণতে হয়। তিনি ব্রীজটি দ্রুত সংস্কার করে যানবাহন চলাচলের উপযোগি করার দাবি জানান।   
 
স্থানীয় প্রবীণ ব্যক্তি সাদ আলী জানান, ব্রীজটি ভাঙ্গাচোরা হওয়ার কারনে প্রায় প্রতিদিনই দূর্ঘটনা ঘটে। এতে অনেকেই পঙ্গুত্ব বরণ  করেছে। এ সড়ক দিয়ে কুষ্টিয়া জেলার দৌলৎপুর ভেড়ামারার সাথে মেহেরপুর জেলার হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। বর্তমানে  ব্রীজটি ভাঙ্গার কারনে গাংনী বামন্দী হয়ে দৌলৎপুরে যাতায়াত করতে হয়। এতে বাড়তি সময়ের পাশাপাশি অতিরিক্ত খরচও গুনতে হয়। দ্রত সময়ের মধ্যে ব্রীজটি নতুন করে নির্মাণ করার দাবি জানান তিনি। 

এলজিইডির গাংনী উপজেলা প্রকৌশলী গোলাপ আলী শেখ জানান,বিষয়টি উর্দ্ধত্বন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। ব্রীজটি নির্মাণে প্রকল্প করেও পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে অনুমোদন বা অর্থ বরাদ্দ পেলে ব্রীজটি নতুন করে তৈরি করা হবে। 

আরকে//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি