ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ডিভোর্স দেয়া স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম, স্বামী আটক

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ২৩:২৩, ৩ নভেম্বর ২০২০

যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারণে রওশনারা (৫০) নামে এক গৃহবধূকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে প্রাক্তন স্বামী আনোয়ারুল ইসলাম। গুরুতর জখম অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে ওই গৃহবধূ। 

এঘটনায় আনোয়ারুলকে স্থানীয় জনগণ আটক করে পুলিশে দিয়েছে। আনোয়ারুল ঝিকরগাছা উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের মৈদর আলীর ছেলে। মঙ্গলবার দুপুরে শার্শা উপজেলার বুরুজবাগান গ্রামে গৃহবধূর নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, আনোয়ারুল পেশায় একজন মাদক ব্যবসায়ী এবং রওশনারার প্রাক্তন স্বামী। অনেকদিন আগে তাদের দু‘জনার মধ্যে ডিভোর্স হয়ে যায়। দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে কোন যোগাযোগ ছিলনা। নতুন করে স্ত্রীকে আবারও ফিরে পেতে কিছুদিন যাবত রওশনারার বাড়ির আশেপাশে ঘুরাফেরা করা এবং তাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি প্রদান করছিল আনোয়ারুল। রওশনারা আনোয়ারুলের নানাবিধ চাপ থেকে বাঁচতে থানায় অভিযোগ করার জন্য ঘটনার দিন যেতে চাইলে সে বিষয়টি আঁচ করে ফেলে।

কৌশলে আনোয়ারুল ধারালো অস্ত্র নিয়ে আগে ভাগেই রওশনারার বাড়ির ভিতর প্রবেশ করে পালিয়ে থাকে। কিছুক্ষণ পরে
রওশনারা বাড়িতে ঢুকলেই অতর্কিত হামলা করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে গ্রামের মধ্যে দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে গ্রামের সাধারণ জনগণ তাকে ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। এদিকে গুরুতর আহত রওশনারাকে স্থানীয় গ্রামবাসী উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। বিকাল ৪টার সময় সেখানেও অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
 
যশোরের নাভারণ সার্কেল সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান জানান, আনোয়ারুল নিজ মুখে ঘটনার সত্যতা জবানবন্দি দিয়েছে। তাকে শার্শা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এব্যাপারে শার্শা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনা তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান। 
কেআই//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি