ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কেরানীগঞ্জে অবৈধ গ্যাস সংযোগ নিয়ে চলছে সিএনজি স্টেশন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:৫৮, ৫ নভেম্বর ২০২০

খোদ রাজধানীর কেরানীগঞ্জেই আছে তিতাসের হাজার হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ। শুধু তাই নয়, অবৈধভাবে চলছে সিএনজি স্টেশন। আবার সিলিন্ডারে সিএনজি ভরে কাভার্ড ভ্যানকে বানানো হচ্ছে অস্থায়ী সিএনজি স্টেশন। ঢাকা-দোহার রোডে এরকম অনন্ত ছয়টি সিএনজি পাম্প চলছে।

ঢাকা-দোহার রোড। অনুমোদনহীন এরকম ছয়টি অস্থায়ী সিএনজি স্টেশন গড়ে উঠেছে। বড় কাভার্ড ভ্যানে শতাধিক সিলিন্ডারের সমন্বয়ে রহমান সিএনজি স্টেশন। কিছু দূর এগোতেই স্বদেশ গ্লোরী স্টেশন। এখানেও একই পদ্ধতি।

রাতের আধারে এভাবেই গ্যাস বিক্রি করছে অস্থায়ী এই স্টেশন। এটি যে বৈধ নয়, তা স্বীকার করলেন মালিক।

অবৈধ সিএনজি স্টেশনের মালিক জানান, আমাদের কেরানীগঞ্জে কোন পাম্প নাই। আমরা যেভাবে করি সেভাবে হয়তো নিষিদ্ধ আছে কিন্তু অবৈধ বলতে পারবেন না। গাড়ী-কাভার্ড ভ্যানে সরকারের নিষেধাজ্ঞা আছে। এরকম ছয়টি পাম্প আছে কেরানীগঞ্জে।

এভাবে কাভার্ডভ্যানকে সিএসজি স্টেশনে রুপান্তরে আশঙ্কা আছে দুর্ঘটনার। তিতাসের স্থানীয় কর্মকর্তারা জানান, প্রভাবশালীরা জড়িত থাকায় পাম্পগুলো বন্ধ করা যাচ্ছে না। 

তিতাসের কেরানীগঞ্জ অঞ্চলের ম্যানেজার স্বাগতম কুমার সাহা বলেন, আমি জানি এটা বিপদজনক। ওদের বিস্ফোরক অধিদপ্তরের লাইসেন্স আছে কিনা দেখতে চাইলে কখনওই ওরা তা দেখায়নি। যেহেতু আমাদের পাইপ লাইনের সঙ্গে সংযোগ নেই, সেজন্য কোন পদক্ষেপও নিতে পারছি না।

তবে, বন্ধের আশ্বাস দিয়েছে তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী মো. আল মামুন বলেন, কেরানীগঞ্জের সিএনজি স্টেশনগুলোর কোন বৈধতা নেই। আমাদের যে লিস্ট আছে সেগুলো ধরে ধরে এগুচ্ছি। আরও কিছু তথ্য পেলে আমরা ব্যবস্থা নিবো।

এবার দৃষ্টি আটকালো তিতাসের অবৈধ গ্যাস লাইনের দিকে। খোলামুড়া এলাকায় এরকম অবৈধ সংযোগ দিয়েছিলো স্থানীয় এক মেম্বার। টাকার বিনিময়ে দিয়েছে এসব অবৈধ সংযোগ। 

এলাকাবাসী জানান, কারও কারও থেকে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়েছে। এছাড়া পুলিশ টাকা নিয়েছে, লিগ্যাল করার জন্য যে চেষ্টা করা হয়েছে সেখানেও টাকা দিতে হয়েছে এবং মাটির নীচ দিয়ে লাইন টানতেও টাকা খরচ হয়েছে।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ওই ইউপি মেম্বার বলেন, সার্কুলার পেয়ে আমরা প্রত্যেক গ্রামের মানুষ নিয়ে মিটিং করেছি। সবাইকে নিয়ে কমিটি করা হয়, সেই কমিটির মাধ্যমে প্রত্যেককে অবৈধ সংযোগ দেয়া হয়। তবে ৬০-৭০-৮০ হাজার টাকার তথ্য সঠিক নয়। গ্রামের মানুষরাই টাকা উঠিয়েছে।

বেশ কয়েকবার অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে বলে জানান থানা নির্বাহী অফিসার। 

কেরানীগঞ্জ থানা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত দেব নাথ বলেন, আমরা শুধু মোবাইল কোর্ট করে জরিমানা করতে পারি। কিন্তু এসব সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য যে যন্ত্রপাতির দরকার তা আমাদের নেই।

এরকম অবৈধ সংযোগের ফলে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার, সেই সাথে থাকছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি।

এএইচ/এমবি


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি