৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টা, প্রাণনাশের হুমকি
প্রকাশিত : ১৭:২৭, ৫ নভেম্বর ২০২০
‘থানা থেকে ধর্ষণচেষ্টার মামলা তুলে নিতে হবে। নইলে ঘরে আগুন জ্বালিয়ে খুন-জখম করা হবে।’ নওগাঁর নিয়ামতপুরের বাহাদুরপুর ইউনিয়নের মহিষকুড়ি গ্রামে ৬ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণচেষ্টা মামলার আসামি একই গ্রামের রহিদুল ইসলামের ছেলে সাফিউল ইসলাম (১৫) জামিনে ছাড়া পেয়ে বাদীকে এভাবেই হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
এতে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে বুধবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নিয়ামতপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন বাদী। তবে বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত দাযেরকৃত জিডির বিষয়ে কার্যকরী কোনও পদক্ষেপ নেয়নি পুলিশ।
অভিযোগসূত্রে জানা গেছে- স্বামী প্রবাসে থাকায় এক মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে শ্বশুড়বাড়িতে বসবাস করে আসছেন বাদী। আসামি সাফিউলের বাড়ি হতে নিয়মিত দুধ ক্রয় করার সুবাদে গত ১৬ অক্টোবর বিকেল ৫টার দিকে বাদীর ৬ বছরের শিশুকন্যা ও তার বান্ধবী সাফিউলের বাড়িতে দুধ আনতে যায়। এসময় সাফিউল ওই শিশু দুটিকে ঘরের মধ্যে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় ভুক্তভোগী শিশুটির বান্ধবী কোনরকমে পালিয়ে গেলেও ওই শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে সাফিউল। এসময় শিশুটির চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সাফিউল পালিয়ে যায়। পরে শিশুটিকে উদ্ধার করে বাড়ি পৌঁছে দেয় স্থানীয়রা।
এ ঘটনার পরদিন (১৭ অক্টোবর) শিশুটির মা বাদী হয়ে নিয়ামতপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ওইদিনই সাফিউলকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠায়। গ্রেপ্তারের ২ দিন পরই গত ১৯ অক্টোবর সাফিউল জামিনে জেল থেকে ছাড়া পায়। এরপর থেকে সাফিউল ও তার লোকজন-আত্মীয়স্বজন মামলা তুলে নিতে বাদীকে নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে।
বাদী বলেন- আমাকে হত্যা করে বাড়িঘর আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকির পর থেকে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছি। এই ঘটনায় থানায় জিডি করেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত পুলিশের কার্যকরী কোনও পদক্ষেপ চোখে পড়েনি।
এদিকে এ ব্যাপারে সাফিউল অভিযোগ অস্বীকার করে বলে- আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
তবে নিয়ামতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ন কবির জিডির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘বাদীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
এনএস/
আরও পড়ুন