ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

পেঁয়াজ চাষে সফল মেহেরপুরের চাষীরা (ভিডিও)

মেহেরপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১২:৫৬, ৭ নভেম্বর ২০২০

গ্রীষ্মকালে চাষযোগ্য বারি-৫ জাতের পেঁয়াজ উৎপাদন করে সফল হয়েছে মেহেরপুরের কৃষি বিভাগ। পরে পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় এ জাতের পেঁয়াজ চাষে সফল হয় চাষীরা। কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সাফল্য দেশজুড়ে ছড়িয়ে দিলে তা পেঁয়াজের ঘাটতি পূরণে সহায়ক হবে। 

এক মৌসুমের ফসল পেঁয়াজ। তাই মৌসুমের শেষ দিকে এই কৃষি পণ্যটির ঘাটতি দেখা দেয়। এমন প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ মসলা গবেষণা কেন্দ্রে উদ্ভাবিত বারি-৫ জাতের পেঁয়াজের পরীক্ষামূলক চাষ শুরু হয় মেহেরপুরে। এ কার্যক্রমে চাষীদের সহায়তা করে পিকেএসএফ।

চাষীরা বলছেন, ৯০ থেকে ১১০ দিনের মধ্যে এই পেঁয়াজ তোলা যায়। বিঘা প্রতি উৎপাদন হয় ৯০ থেকে ১শ’ মণ। গ্রীষ্মকালীন এ পেঁয়াজ চাষে প্রতি বিঘায় খরচ হয় ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা। লাভ আসে লাখ টাকার উপরে। এবার জেলার ৯৮ হেক্টর জমিতে বারী-৫ জাতের পেঁয়াজের চাষ হয়েছে।

চাষীরা জানান, এই সময় বাজারে পেঁয়াজ থাকে না তাই দাম বেশি এবং পেঁয়াজ সংরক্ষণে রাখাও সম্ভব হয় না। তাই এই সময়ে পেঁয়াজ উৎপাদন করতে পারলে অনেক লাভবান হওয়া যাবে। বিঘা প্রতি এক থেকে দেড় লাখ টাকার মত লাভ পাবো বলে আশা করছি।

ঘাটতি মেটাতে এ জাতের পেঁয়াজ চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এজন্যে কৃষকদের প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। 

কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাসানুজ্জামান কল্লোল বলেন, মৌসুমে পেঁয়াজের উৎপাদন বেশি হলে দাম কমে যায়, ফলে কৃষক ন্যায্যমূল্য পায় না। ফলে এটাকে ভাগ করে যদি গ্রীষ্মকালে ৫-৮ লাখ মেট্রিক টন উৎপাদন করতে পারি, তাহলে আমাদের দুই-তিন মাসের চাহিদা গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ দিয়ে পূরণ করা সম্ভব।

পিকেএসএফ সিনিয়র মহাব্যবস্থাপক ড. আকন্দ মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, এখানে এটির মোটেই চাষ হতো না কিন্তু সেখানে আজ ৮শ’ মেট্রিক টন পর্যন্ত উৎপাদন করতে পেরেছি। তার মধ্যে প্রায় আড়াইশ’ মেট্রিক টন সংরক্ষণাগারে রাখতে পেরেছি।

মেহেরপুরের মাটির ধরন বারি-৫ জাতের পেঁয়াজ চাষের উপযোগী, জানান কৃষি বিশেষজ্ঞরা।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক্সপার্ট পুলের সদস্য মোঃ হামিদুর রহমান জানান, মেহেরপুরের মাটি এবং এখানকার আবহাওয়া বৈচিত্রপূর্ণ কৃষির জন্য খুবই উপযোগী। আমরা যেটাকে উচ্চমূল্যের ফসল বলি, এরকম সব ধরনের উচ্চমূল্যের ফসলই মেহেরপুরে হয়ে থাকে।

এই বারোমাসি জাতের পেঁয়াজের আবাদ সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়ার আহবান কৃষি সংশ্লিষ্টদের।

এএইচ/এমবি


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি