চরসোনাকুড় আলিম মাদরাসা ও এতিমখানায় নানা অনিয়ম
প্রকাশিত : ১৬:১০, ৯ নভেম্বর ২০২০
বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার চর সোনাকুড় আলিম মাদরাসা ও সংলগ্ন এতিমখানা ব্যবস্থাপনা কমিটির বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই নিয়োগ বাতিল ও পুনঃপরীক্ষা নেওয়ার জন্য মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর আবেদন করেছেন এতিমখানায় জমিদাতার সন্তান রফিকুল ইসলাম।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন- গত ১৭ অক্টোবর চর সোনাকুড় আলিম মাদরাসার কয়েকটি পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে ওইদিনই নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল দেয়ার কথা থাকলেও একটি পদ ছাড়া অন্যান্য পদের ফলাফল ঘোষণা করা হয় ২১ অক্টোবর। ফলাফলে দেখা যায়- ব্যবস্থাপনা কমিটির অভিভাবক সদস্য মহাসেন সরদারের পুত্রবধূ মোসাঃ তিন্নি খানমকে আয়া পদে, মহসেন সরদারের ভাতিজা আরিফুল ইসলামকে দপ্তরী পদে, সভাপতির ভাতিজা তরিকুল ইসলামকে হিসাব সহকারী পদে এবং মাদরাসার জমিদাতার পুত্র লাভলুকে নিরাপত্তাকর্মী পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। এতেই বোঝা যায় যে, এখানে স্বজনপ্রীতি ও নিয়োগের জন্য মোটা অংকের টাকা গ্রহণ করা হয়েছে।
এছাড়াও মাদরাসা সংলগ্ন চর সোনাকুড় এতিমখানায় এতিমদের না রেখে সরকারি অর্থ, সদস্যের চাঁদা ও এলাকার মৌসুমী চাঁদার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে এতিমখানার ব্যবস্থাপনা কমিটির বিরুদ্ধে।
স্থানীয়রা জানান, ওই এতিমখানায় মাত্র ১০ থেকে ১২ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এরমধ্যে মাত্র চারজন ছাত্র এতিম। অন্য শিক্ষার্থীরা টাকা দিয়ে থাকে এতিম খানায়। সরকারিভাবে ৩৬ জন এতিম শিক্ষার্থীর জন্য বরাদ্দ অবশিষ্ট টাকা কমিটির লোকেরা ভাগ বাটোয়ারা করে খেয়ে ফেলছে বলে অভিযোগ।
এছাড়া এতিমখানায় এতিমদের থাকা, খাওয়া, শিক্ষাসহ কম্পিউটার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থার কথা কাগজপত্রে থাকলেও বাস্তবে সে ধরণের কোনও ব্যবস্থা নেই। এমনকি ওই মাদরাসায়ও কম্পিউটার প্রশিক্ষণের কোনও ব্যবস্থা নেই।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে এতিমখানা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মুহাঃ আলতাপ হোসাইন জানান- আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। এলাকার এক শ্রেণীর স্বার্থান্বেষী মহল আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।
চর সোনাকুড় আলিম মাদরাসা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোঃ কালাম বলেন- নিয়ম অনুযায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। যারা নিয়োগ পায়নি তারা অপপ্রচার চালাবেই।
এনএস/
আরও পড়ুন