নওগাঁয় গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ
প্রকাশিত : ১৭:৫৮, ১৪ নভেম্বর ২০২০
নওগাঁর নিয়ামতপুরের ভাবিচা ইউনিয়নের ভালাতৈড় ফাটকিপাড়া গ্রামে গৃহবধূ(২০)কে মুখে গামছা বেধেঁ ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে স্থানীয়ভাবে বিচার শালিসের টাল-বাহানার একপর্যায় অভিযোগ করা হলেও তা গত ১৫ দিনেও থানায় মামলা হিসেবে রের্কড হয়নি বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী।
এদিকে মামলা তুলে নিতে অভিযুক্ত ও তার পরিবারের সদস্যরা উল্টো বাদিনী ও তার স্বামীকে হুমকি ধামকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ বাদিনীর। তবে পুলিশের বক্তব্য বাদিনীর অনিহার কারনেই মামলা রের্কড হয়নি।
জানা গেছে, গত ১১ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টার ভালাতৈড় ফাটকিপাড়া গ্রামের দিন মজুরের স্ত্রী গৃহবধূ(২৫) হাসঁ চড়াতে মাঠে যায়। এসময় একই গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে মো. কামরুজ্জামান (৪৫) তাকে একা পেয়ে মাঠের শ্যালো মেশিনের ঘরে কৌশলে ডেকে নিযে মুখে গামছা বেধেঁ ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় ওই গৃহবধূ জ্ঞান হারিয়ে ফেললে কামরুজ্জামান শ্যালো ঘরে তালা দিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। জ্ঞান ফিরে পাওয়ার পর তার চিৎকারে গ্রামের লোকজন এগিয়ে এসে ঘরের দেয়াল ভেঙ্গে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় গ্রাম্য শালিস বৈঠক ডেকে বিচার শালিস করা হবে বলে গ্রামের মাতবররা ওই পরিবারকে আস্বস্থ্য করে। কিন্তু দীর্ঘদিন পার হয়ে গেলেও মাতবররা কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করলে ওই গৃহবধূ গত ২৯ অক্টোবর কামরুজ্জামানকে আসামী করে থানায় লিখিত অভিযোগ করে।
কাঁদতে কাঁদতে ওই গৃহবধূ বলেন, 'আমার স্বামী দিনমজুর কোন রকমে আমাদের সংসার চলে। বিচারের জন্য গ্রামের মাতবরদের দুয়ারে দুয়ারে ঘরের বিচার পাইনি। পুলিশের কাছে অভিযোগ দেওয়ার পর এখন জানতে পারলাম অভিযোগ নাকি রের্কড হয়নি। আপনারাই বলেন, আমি কার কাছে গেলে ন্যায় বিচার পাবো। এখন আমাকে সমাজে নানা কথা উঠছে। আমি আর মুখ দেখাতে পারছি না। উল্টো আসামী ও তার পরিবারের লোকজন আমাকে ও আমার স্বামীকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য।'
অভিযুক্ত কামরুজ্জামান বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সঠিক নয়। ওই গৃহবধূ আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।
এব্যাপারে নিয়ামতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ন কবির ভিকটিমকে দায়ী করে বলেন, অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে একজন এসআইকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। কিন্তু ভিকটিম মামলা দায়েরে অনীহা প্রকাশ করে।
কেআই//
আরও পড়ুন