ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৬ মাসে অর্ধশতাধিক খুন (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৩:০৫, ১৫ নভেম্বর ২০২০ | আপডেট: ১৩:০৭, ১৫ নভেম্বর ২০২০
গত ৬ মাসে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অর্ধশতাধিক খুনের ঘটনা ঘটেছে। এসব হত্যায় মামলা হলেও বেশির ভাগ আসামি রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। স্বজনদের অভিযোগ, আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না। আর পুলিশ বলছে, হত্যার রহস্য উদঘাটনের পাশাপাশি অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার লালপুর লামা বায়েক গ্রামে পাওনা টাকা নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় খুন হন ইশান ও মনির নামের দুই যুবক। এ মামলায় ১ জন গ্রেফতার হলেও বাকীরা রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। তারা নানা রকম হুমকি দিচ্ছে বলেও জানিয়েছেন স্বজনরা।
নিহত ইশানের মাতা আকলিমা আক্তার জানান, আসামি এখন পর্যন্ত ধরা পড়েনি। তারা মুক্ত আকাশে খোলামেলাভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর আমরা তো দিনরাত কষ্টে দিন কাটাচ্ছি।
এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর, বাঞ্ছারামপুর, সরাইলসহ জেলার ৯টি উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার, পারিবারিক কলহ ও একাধিক সংঘর্ষের ঘটনায় এসব খুনের ঘটনা ঘটছে। এর মধ্যে দুটি জোড়া খুন, ব্যাংক ডাকাতি চেষ্টায় খুনসহ বিভিন্নস্থান থেকে বেওয়ারিশ মরদেহও উদ্ধার করা হয়।
আসামীদের গ্রেফতার দাবিতে বিভিন্ন সময় সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করেছেন স্বজনরা।
এলাকাবাসীরা জানান, আসামিদেরকে আইনের আওতায় আনতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে অনেক সময় গড়িমসি করতে দেখা যায়। এই খুনের ঘটনার বিচার না হওয়ার কারণে খুনের অপসংস্কৃতি থেকে আমরা বেড়িয়ে আসতে পারছি না।
এদিকে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা আরও জোরদার করতে হবে বলে মনে করেন আইনজীবী।
জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি শফিউল আলম লিটন বলেন, আমি মনে করি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কিছুটা স্থবির। কাজেই এই পরিস্থিতি উত্তরণের জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও গতিশীল হতে হবে।
তবে পুলিশ বলছে, এসব হত্যাকাণ্ডের বেশির ভাগ রহস্য উদঘাটন ও অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার মোঃ আনিসুর রহমান বলেন, যে গোষ্ঠিগত বিরোধ বা দাঙ্গা সৃষ্টি হয় এটি প্রশমনের জন্য আমরা করে যাচ্ছি।
খুনীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি স্বজনদের।
ভিডিও-
এএইচ/
আরও পড়ুন