ভিডিও দেখুন
সাদাতের অ্যাপস ব্যবহার করে অপরাধী আটকের পরিকল্পনা
প্রকাশিত : ১৩:১১, ১৬ নভেম্বর ২০২০ | আপডেট: ১৪:৪৪, ১৬ নভেম্বর ২০২০
‘আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার’ লাভ করলেন নড়াইলে উচ্চ মাধ্যমিকে অধ্যয়নরত সাদাত রহমান। সাদাত সাইবার টিনস অ্যাপসের অন্যতম নির্মাতা। এই অ্যাপসের মাধ্যমে সাইবার ক্রাইমের শিকার কিশোর-কিশোরীর নাম গোপন রেখে অপরাধী আটকের পরিকল্পনা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সাইবার অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষায় সাদাতের অনন্য উদ্যোগ ‘সাইবার টিনস মোবাইল অ্যাপ’। এই অবদানের জন্য এবার ‘আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার’ পায় সাদাত। নেদারল্যান্ডসে নোবেল জয়ী মালালা ইউসুফজাই তুলে দেন পুরস্কার। পুরস্কারের ১ লাখ ইউরো দিয়ে অ্যাপসটিকে আরও উন্নত করতে চান সাদাত।
২০১৯ সাল থেকে শুরু হয় প্রচেষ্টা। সাইবার ক্রাইমের শিকার হয়ে ১৫ বছর বয়সী এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়ার কথা জানতে পেরে এ অ্যাপ তৈরির উদ্যোগ নেয় সাদাতসহ তার বন্ধুরা। সাইবার ক্রাইমের শিকার হওয়া কিশোর বা কিশোরীর নিরাপত্তার বিষয়টি ভেবে তাদের নাম সম্পূর্ণ গোপন রেখে অপরাধীদের আটক করা হয় এ অ্যাপসের মাধ্যমে।
সাদাত বলেন, আমরা যদি সবাই একত্রিত হতে পারি তাহলে অনেক কিছু করা সম্ভব। এটা থেকেই মূলত আমার সংগঠনের যাত্রা শুরু।
সাদাত রহমানের বাড়ি মাগুরা জেলার আলোকদিয়া গ্রামে। বর্তমানে নড়াইলে পড়াশুনা করছে সে। বাবা সাখাওয়াত হোসেন কুষ্টিয়া ডাকঘরে কর্মরত আর মা মলিনা বেগম গৃহিণী। ছোটবেলা থেকেই সাদাতকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন তাদের।
৪২টি দেশের ১৪২ জন প্রতিযোগীর মধ্যে চূড়ান্ত হয় ১৭ বছর বয়সী সাদাত রহমানের নাম। শিশুদের নোবেল খ্যাত এই ‘আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার’ লাভ করায় আনন্দিত সবাই।
এলাকাবাসীরা জানান, নড়াইলবাসী তার এই সাফল্যে, তার এই বিশ্ব জয়ে, বিশ্ব শান্তি পদক প্রাপ্তিতে আমরা আনন্দিত।
সাদাতের অ্যাপস থেকে সুবিধা পেয়েছে ২৫০ জন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এই অ্যাপস খুবই ফলপ্রসু বলছে স্থানীয় প্রশাসনও।
নড়াইল পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, ওর চিন্তা-ভাবনাগুলোকে আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এটাকে আমরা বাস্তবায়ন করেছি।
নড়াইল জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা বলেন, খুবই ভাল লেগেছে। আমি মনে করি এটি নড়াইলকে নতুনভাবে বাংলাদেশে তুলে ধরবে।
সাইবার ক্রাইমের সমস্যা সমাধানে আরও এগিয়ে যেতে চায় সাদাত ও তার সহযোগিরা।
এএইচ/এসএ/
আরও পড়ুন