ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

মোংলায় ড্রেজিংয়ের বালু ফেলে সরকারী খাল ভরাট

মোংলা প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৮:৩৯, ১৮ নভেম্বর ২০২০

ড্রেজিংয়ের বালু দিয়ে সরকারী খাল ভরাটটের অভিযোগ উঠেছে “গ্রীন এলপিজি” কোম্পানির বিরুদ্ধে। কোম্পানিটি মোংলা বন্দরের পশুর নদীর পাড়ের তাদের নিজস্ব জেটি ড্রেজিং করে তার বালু দিয়ে ওই খাল ভরাট করে। এ ক্ষেত্রে কোম্পানির কোনও কর্মকর্তা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এমনকি প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিকেও তোয়াক্কা করেননি। 

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সুদেব কুমার রায় বলেন, “গ্রীন এলপিজির স্থানীয় কর্তাকর্তাদের নিষেধ করার পরও তারা ড্রেজিংয়ের বালু দিয়ে আমতলা সরকারী খালটি ভরাট করে ফেলেছে। 

সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সরকার যেখানে খাল খনন করছে, সেই মূহুর্তে গ্যাস কোম্পানি উদ্দেশ্যমূলকভাবে খাল ভরাট করছে। এটা পরিবেশ এবং সমাজের জন্য ক্ষতিকর। তাই এ ধরনের কর্মকান্ডের জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া উচিত। 

বুধবার (১৮ নভেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পশুর নদীর গ্রীন এলপিজির নিজস্ব জেটি ড্রেজিং করে তার বালু এক
জায়গায় ডাম্পিং (স্তুপ) না করে সরসরি পাইপ দিয়ে পাশেই খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলার বানিশান্তা ইউনিয়নের আমতলা সরকারি খালে ফেলে ভরাট করে ফেলেছে। 

স্থানীয় বাসিন্দা রানী মন্ডল, উত্তম কুমার ও পুস্পিতা রায় সাংবাদিকদের জানান, গত সপ্তহেও প্রবাহমান এই খাল দিয়ে আমরা নৌকায় করে খেতের ধান নিয়ে আসি। এখন খালটি বন্ধ হওয়ায় শত শত মন ধান জমিতেই পড়ে আছে। এছাড়াও এখন এই খালের পানি না থাকায় নানা রকম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদের। 

এ প্রসঙ্গে দাকোপ উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল ওদুদ বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানতামনা, সরকারী খাল ভরাটের দায়ে গ্রীন এলপিজি কোম্পনির বিরুদ্ধে সর্বচ্চ আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। 

বানিশান্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুদেব কুমার রায় বলেন, ওই কোম্পানির কিছু খামখেয়ালী কর্মকর্তা রয়েছেন, তারা আমার কোনও কথাই শোনেনি, আমি তাদের একাধিকবার অনুরোধ করেছি। তারপরও তারা তাদের ড্রেজিংয়ের বালু দিয়ে প্রায় ৩’শ ফুট খাল ভরাট করে স্থানীয়দের ভোগান্তি ফেলেছেন।  

এদিকে গ্রীন এলপিজি কোম্পানির স্থানীয় সিভিল প্রকেীশলী আশিষ রায় দাবি করে বলেন, ভুলবশত বালু খালে পড়ে ভরাট হয়েছে। এখন আমরা এই খালের বালু অপসরণ করার ব্যবস্থা করছি। 

কোম্পনিটির নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আনিস এ বিষয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি, তবে তিনি সাংবাদিকদের বলেন-“আপনারা চা বিস্কুট খান, আমরা আপনাদের হেড অফিসে কথা বলব”। 
কেআই//
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি