স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি মোংলাবাসীর (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:৫৭, ২৩ নভেম্বর ২০২০
স্থায়ী বেড়িবাঁধ না থাকায় দুর্দশা আর উৎকন্ঠায় মোংলাবাসীর দিন কাটে। সামান্য বৃষ্টি আর জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায় জনপদ। ভেসে যায় মাছের ঘের আর ক্ষেতের ফসল। দ্রুত স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি এলাকার মানুষের।
মোংলা উপজেলার চিলা, চাঁদপাই ও বুড়িডাঙ্গা ইউনিয়নকে ঘিরে রেখেছে পশুর নদী, শাখা নদী শ্যালা ও মোংলা নদী। নদীগুলোর পাশে স্থায়ী বেড়িবাঁধ না থাকায় দুর্ভোগে এলাকার মানুষ। তারা জানান, একযুগ আগে বেসরকারি উদ্যোগে পৌর শহরের সীমান্ত থেকে জয়মনির ঘোল পর্যন্ত আংশিক বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়।
কিন্তু কানাইনগর আবাসন এলাকা থেকে জয়মনির ঘোল শ্যালা নদীর মোহনা পর্যন্ত বেড়িবাঁধের অবস্থা খুবই নাজুক। এছাড়া চিলা খাল পর্যন্ত বাঁধের কোনো চিহ্ন নেই। একটু বৃষ্টি আর জোয়ারে পানিতেই তলিয়ে যায় এলাকা।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী জানান, যেভাবে মাটির দেয়ার নির্দেশনা ছিল সেভাবে দেয়নি। ফলে রাস্তা বিলীন হয়েছে। তাতে জোয়ারের পানি উঠে বাড়িঘর তলিয়ে যাচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, মোংলার জয়মনি থেকে মোড়েলগঞ্জের সন্নাসী পর্যন্ত ৯৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ নাহিদুজ্জামান খান বলেন, রামপালের এক অংশ এবং মোংলার জয়মনি পর্যন্ত প্রায় ৯৫ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি বেড়িবাঁধের প্রস্তাবনা ইতিমধ্যে প্রেরণ করা হয়েছে। এটির আগে মাঠ পর্যায়ে পর্যবেক্ষণ হবে, তারপর প্রকল্প প্রস্তাবনা আকারে যাবে।
বাঁধটি নির্মাণ হলে উপকূলের মানুষের দুর্ভোগ কমার পাশাপাশি কৃষি ও মৎস্য খাতে উন্নয়ন হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এএইচ/এসএ/
আরও পড়ুন