দরজা খুলতে রাজি না হওয়ায় পিতাকে কুপিয়ে খুন
প্রকাশিত : ১৬:০০, ২৭ নভেম্বর ২০২০ | আপডেট: ১৬:০৬, ২৭ নভেম্বর ২০২০
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নে রিটন ধর (৫০) নামে এক মাদকাসক্ত পুত্রের হাতে মৃত্যু হয়েছে মোহন ধর (৭০) নামে এক হতভাগ্য পিতার। গত ২৫ নভেম্বর দিবাগত রাতের কোনও এক সময় মাদকাসক্ত ছেলে রিটন ধর তার পিতাকে কুপিয়ে খুন করে।
নিহত আনন্দ ধর লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের উত্তর আমিরাবাদ ৫নং ওয়ার্ডের বণিক পাড়ার মৃত সচিন্দ্র ধরের পুত্র। তিনি তিন সন্তানের জনক। আমিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম ইউনুচ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার রাতে খাওয়া দাওয়া শেষে আনন্দ ধর তাদের টিনের ঘরে দরজা লাগিয়ে ঘুমাতে যান। এসময় মাদকাসক্ত ছেলে রিটন ধর মাতাল অবস্থায় তার বাবাকে দরজা খুলতে বলে। জবাবে তার বাবা মেজ ছেলের অনুমতি ছাড়া ঘরে ঢুকতে দিবেনা বলে তাকে জানিয়ে দেন।
পরে রাতের কোনও এক সময় টিনের ঘরের একটা অংশ কেটে ঘরে ঢুকে তার বাবাকে নির্মমভাবে কুপিয়ে খুন করে পালিয়ে যায় রিটন। সকালে ঘুম থেকে না ওঠায় আশপাশের লোকজনসহ পরিবারের লোকজন ডাকাডাকি করার এক পর্যায়ে দেখা যায় ঘরের একপাশে কাটা। তখন স্থানীয় ইউপি সদস্য নেজাম উদ্দীনকে খবর দেন তারা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ইউপি সদস্য নেজাম উদ্দীন জানান, খবর পেয়ে পুলিশকে অবহিত করি।
নিহতের আরেক ছেলে মিটন ধর জানান, আমার মা-বাবাকে নিয়ে চট্টগ্রাম শহরের বাসায় চলে যাওয়ার জন্য পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়। সাপ্তাহখানেক আগে আমার বাবা বলল- তোমার মাকে নিয়ে চট্টগ্রাম শহরের বাসায় যাও, আমি পরে আসব। তখন বাবাকে রেখে মাকে নিয়ে শহরের বাসায় চলে যাই। ২৬ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) সকাল অনুমানিক ১০টায় ফোনে খবর পেলাম আমার বাবাকে আমার ভাই রিটন কুপিয়ে খুন করেছে।
তিনি আরও বলেন, আমার ভাই রিটন ধর মাদকাসক্ত ও বেপরোয়া স্বভাবের ছিলেন। প্রায় সময়ই স্ত্রী এবং সন্তানদের মারধর করত সে।
ঘাতক রিটন ধরের স্ত্রী ঝিনু ধর (৪৫) জানান, তার স্বামী রিটন ধর (৫০) মাদকাসক্ত ছিলেন এবং আমাদের উপর অমানুষিক নির্যাতন করতেন। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে লোহাগাড়া থানায় অভিযোগও দায়ের করেছিলাম।
লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকের হোসাইন মাহমুদ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এনএস/
আরও পড়ুন