ঢাকা, রবিবার   ০৩ নভেম্বর ২০২৪

ধর্ষণে ব্যর্থ, মারধর ও গহনা লুটে পালালো বখাটে দল

সাতকানিয়া সংবাদদাতা

প্রকাশিত : ২২:০৪, ২৭ নভেম্বর ২০২০

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে মারধর করে গলার চেইন ও কানের দুল নিয়ে পালিয়েছে স্থানীয় বখাটের দল। শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় সাতকানিয়া উপজেলার এওচিয়ার ছড়ারকুলের ঢাংগিরী পাড়ায় প্রবাসী নুরুল আমিনের স্ত্রী নাসিমা আক্তারের পাকাবাড়িতে কেউ না থাকার সুবাদে স্থানীয় একটি বখাটের দল এই ঘটনা ঘটায়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে- সাতকানিয়া উপজেলার এওচিয়া ইউনিয়নের ঢাংগিরী পাড়ার মৃত আবুল হোসেনের সন্তান প্রবাসী নুরুল আমিন এক বছর আগে বিয়ে করে দেশে বউ রেখে আবারও প্রবাসে পাড়ি জমান।

এদিকে, শশুর বাড়ির দূর-সম্পর্কীয় আত্মীয় হওয়ার সুযোগে স্থানীয় বখাটে মো: হোসেনের ছেলে মো: ফয়সাল (২২) দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসী নুরুল আমিনের স্ত্রী নাসিমা আক্তারকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল এবং সময়ে অসময়ে উত্যক্ত করত। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার সমাজে সালিশ-বৈঠক হলেও তা ফয়সাল, ইসহাক ও নুর হোসেন মানে না বলে জানান একাধিক এলাকাবাসী।

এরই জেরে শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) মাগরীবের সময় আশেপাশে কেউ না থাকার সুবাদে ফয়সাল (২২) আবারও খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে প্রবাসী নুরুল আমিনের স্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরে এবং ইসহাক আর নুর হোসেন ফয়সালকে সহযোগিতা করার জন্য বাইরে অবস্থান করছিলো।

এদিকে, প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে তার গলার চেইন নিয়ে ছিনিয়ে নেয় এবং তাকে মারধর করতে থাকলে প্রতিবেশী রন্জুর স্ত্রী ও তার পুত্রবধুরা এগিয়ে আসলে তাদেরও মারধর করে ফয়সাল ও তার সহযোগিরা।

এদিকে ধর্ষণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া প্রবাসীর স্ত্রী বলেন, এই ফয়সাল আমাকে সময়ে-অসময়ে কু-প্রস্তাব দেয়। আমার নতুন বিয়ে হয়েছে আর ফয়সালও আমার সমবয়সী। সে সময়ে অসময়ে- বিশেষ করে, রাতে আমাকে ডিষ্টার্ব করে আসছিলো। এটা নিয়ে বহুবার সালিশ বৈঠক হলেও কোনও সমাধান হয়নি।

এরই জেরে হঠাৎ করে আজ মাগরীবের সময় আমার বাড়িতে কেউ না থাকার বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে ফয়সাল বাইরে লোক দাঁড় করিয়ে রেখে আমার শোয়ার ঘরে গিয়ে আমাকে জাপটে ধরে, আমি তার হাত থেকে বাঁচতে চাইলে ধস্তাধস্তি হয়। পরে আমার শোর-চিৎকারে তার উদ্দেশ্য সফল না হওয়াতে সে আমাকে প্রচন্ড মারধর করে এবং গলার চেইন ছিনিয়ে ও আলমারীর উপরে রাখা কিছু টাকা নিয়ে যাওয়ার সময় প্রতিবেশীরা তাকে ধরে ফেলেন। পরে ফয়সাল আমার প্রতিবেশী জাঁদেরও মারধর করে পালিয়ে যায়।

এদিকে পালানোর সময় এক গর্ভবতী নারীর পেটে লাথি মারেন ফয়সাল। ঘটনার বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করে ওই নারী বলেন, প্রবাসী নুরুল আমিনের স্ত্রীকে মূলত ধর্ষণ করতে না পেরেই সে ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর করলে আমরা গিয়ে তাকে আটকানোর চেষ্টা করি। এসময় আমাদের ৩/৪ জনকে মেরে সে পালিয়ে যায়। আমি গর্ভবতী, আমি এখন গর্ভের সন্তান নিয়েও চিন্তায় আছি।

এ বিষয়ে সাতকানিয়া থানার ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ জানান, বিষয়টা গুরুত্বসহকারে নিয়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত পুলিশ পাঠিয়েছি। একইসঙ্গে সর্বোচ্চ আইনি সহায়তা প্রদান করা হবে বলেও নিশ্চয়তা দেন তিনি।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি