স্ত্রীকে নিতে এসে লাশ হলো যুবক
প্রকাশিত : ১৬:৪৩, ২৯ নভেম্বর ২০২০ | আপডেট: ১৬:৪৬, ২৯ নভেম্বর ২০২০
রাজশাহীর পবা উপজেলার হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) কমপ্লেক্সের একটি কক্ষ থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (২৮ নভেম্বর) রাতে ইউপি চেয়ারম্যান তাকে ওই কক্ষে আটকে রাখেন।
আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
লেপের ছেঁড়া অংশের কাপড় দিয়ে জানালার সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় লাশ পাওয়া গেছে বলে জানান দামকুড়া থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম।
নিহত যুবকের নাম মোফাজ্জল হোসেন (২৬) রাজশাহীর তানোর উপজেলার চান্দুড়িয়া ইউনিয়নের যুগলপুর গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে।
জানা গেছে- দুই সপ্তাহ আগে মোফাজ্জল হরিপুর ইউনিয়নের নলপুকুর গ্রামে রফিকুল ইসলামের মেয়েকে বিয়ে করে। গত দুদিন থেকে তিনি শশুর বাড়িত ছিলেন। মোফাজ্জল অটো রিকশা চালাতেন।
ওসি মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘রোববার সকালে গ্রাম পুলিশ গিয়ে মোফাজ্জলের লাশ দেখে চেয়ারম্যানকে খবর দেয়। পরে তিনি বিষয়টি থানায় জানান। খবর পেয়ে প্রথমে পুলিশের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) খবর দেওয়া হয়েছে। তারা গিয়ে লাশের সুরতহাল তৈরি করার পর লাশ উদ্ধার করা হয়।’
ওসি বলেন, ‘এটি হত্যা না আত্মাহত্যা, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে তার শরীরে কিছু আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তিনি কিভাবে মারা গেছেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।’
ইউপি চেয়ারম্যান বজলে রেজবী আল হাসান মুঞ্জিল জানান, ‘দুই সপ্তাহ আগে বিয়ে হলেও রফিকুলের মেয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে চলে আসেন। তিনি আর সংসার করতে চাচ্ছিলেন না। দুইদিন আগে মোফাজ্জল তাকে নিতে শ্বশুরবাড়িতে আসেন। শনিবার সন্ধ্যায় তিনি স্ত্রীকে মারধর করেন। এ সময় তার পরিবারের সদস্যরা মোফাজ্জলকে ধরে মারাধর করে আমার কাছে নিয়ে আসে। রোববার দুইপক্ষের লোকজনদের নিয়ে তাদের দাম্পত্য কলহের বিষয়ে মীমাংসায় বসার কথা ছিল। এজন্য রাতে মোফাজ্জল হোসেনকে ইউপি ভবনের একটি কক্ষে রাখা হয়।’
এআই//এনএস/
আরও পড়ুন