নবাবগঞ্জে কলেজ শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার, আটক ১
প্রকাশিত : ১৮:৪০, ২৯ নভেম্বর ২০২০
ঢাকার নবাবগঞ্জে নিখোঁজের ১৫ দিন পর পুকুর থেকে হৃদয় হোসেন (১৭) নামে এক কলেজ শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটায় উপজেলার আরঘোষাইল গ্রামের একটি পরিত্যক্ত পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
এঘটনায় শাওন মোল্লা (২০) নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাওন হত্যার দায় স্বীকার করেছেন বলে জানান, পুলিশ। রবিবার নিহত হৃদয়ের মা বাদি হয়ে নবাবগঞ্জ থানায় মামলা করেছে।
নিহত হৃদয় হোসেন উপজেলার ঘোষাইল এলাকার সৌদি প্রবাসী নজরুল ইসলামের ছেলে এবং শিকারীপাড়া তোফাজ্জল হোসেন ডিগ্রী কলেজের এইচএসসি ১ম বর্ষের ছাত্র ছিল। এবং আটককৃত শাওন মোল্লা উপজেলার আরঘোষাইল এলাকার সাইদুল মোল্লার ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ নভেম্বর বিকেলে হৃদয় ঘুরতে যাওয়ায় কথা বলে বাসা থেকে বের হয়। রাত ১০টা সময় হৃদয়ের মা ছেলের মোবাইলে ফোন করলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। অনেক খোঁজাখুজির পরও ছেলেকে না পেয়ে ১৭ নভেম্বর থানায় জিডি করেন হৃদয়ের মা। ২২ নভেম্বর হৃদয়ের মোবাইল নম্বর থেকে অজ্ঞাতনামা একজন তার মায়ের মোবাইলে ফোন করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন এবং টাকা না দিলে বিষয়টি কাউকে জানালে হৃদয়কে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেওয়া হয়।
সন্তানের বিপদের কথা চিন্তা করে অপহরণকারীদের ১০ হাজার টাকা বিকাশ করে হৃদয়ের মা। একইভাবে ২৭ নভেম্বর পুনরায় অপহরণকারীরা বিকাশে টাকা পাঠাতে বললে হৃদয়ের মা সাথে সাথে বিষয়টি পুলিশে জানায়। তখন পুলিশের পরামর্শে অপহরণকারীদের দেওয়া বিকাশ নম্বরে টাকা পাঠানো হয়। তখন ওই বিকাশ নাম্বারটিতে ফোন দিয়ে জানা যায় দোকানটি উপজেলার বারুয়াখালী বাজারের। ওই দিন সন্ধ্যায় দোকান থেকে টাকা তুলতে এলে ওত পেতে থাকা পুলিশ শাওন মোল্লাকে আটক করে। পরে তার দেওয়া তথ্য মতে, আর ঘোষাইলের মহিন বেপারীর পরিত্যক্ত পুকুরের কচুরী পানার নিচ থেকে হৃদয়ের গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতের মা ময়না বেগম বলেন, আমার ছেলেকে শাওন ও তার দলের লোকজন পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আমি ওদের ফাঁসি চাই।
এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম শেখ বলেন, আটককৃত শাওন মোল্লার তথ্যমতে পুকুর থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় শাওনকে হত্যা মামলায় তিন দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া সুরতহাল শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মিটর্ফোড হাসপতালে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকান্ডের সাথে যারা জড়িত তাদেরকে ধরার চেষ্টা চলছে।
কেআই//
আরও পড়ুন