মেয়েকে বিয়ে করতে না পেরে মাকে নির্যাতন
প্রকাশিত : ১৯:৫৬, ২৯ নভেম্বর ২০২০
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায় এক মেয়েকে বিয়ে করতে না পেরে তার মাকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার কুলকাঠি গ্রামে শনিবার (২৮ নভেম্ববর) রাতে (সাড়ে ৭টার) দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। ওই বখাটের নাম তরিকুল ইসলাম। আহত বুলু বেগমকে(৫২) রোববার সকালে ঝালকাঠি ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্ত তরিকুল ইসলাম কুলকাঠি গ্রামের আশ্রাফ আলী খলিফার ছেলে।
আহত ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বুলু বেগম (৫০) বলেন, 'আমার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করতো পাশের বাড়ির বখাটে তরিকুল ইসলাম। ওর যন্ত্রণায় মেয়ে বাড়ির বাইরে বের হতো না। এক বছর আগে গোপনে মেয়ের বিয়ে দিয়ে দেই। সেই থেকেই তরিকুল আমার ওপর ক্ষিপ্ত। এরপর থেকে আমাকে রাস্তায় গালাগাল, হাঁস-মুরগি ধরে নিয়ে যাওয়াসহ নানাভাবে আমাকে অপদস্ত করে তরিকুল। আমি এর প্রতিবাদ করায় সে ক্ষিপ্ত হয়ে শনিবার রাতে সাড়ে ৭টার দিকে আমার ঘরে ঢুকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আমাকে গুরুতর আহত করে। এসময় আমার স্বামী ও ছেলেরা বাড়িতে ছিল না। মেয়েকে বিয়ে না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়েই সে আমাকে মারধর করেছে। পুলিশকে বিষয়টি বলেছি।
জানা যায়, কুলকাঠি গ্রামের দিনমজুর এনায়েত উদ্দিন হাওলাদারের স্ত্রী বুলু বেগম তিন সন্তান নিয়ে বিপাকে পড়েন। বড় ছেলে রেজাউল ইসলাম ঝালকাঠি শহরে শপিংব্যাগ বিক্রি করেন। তিনি থাকেন শহরের কলেজ মোড় এলাকায়। দুই মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ের বিয়ে দিলে সে শ্বশুরবাড়িতে থাকে। ছোট মেয়ে নিয়ে বাড়িতে থাকেন বুলু বেগম। মেয়েটি দশম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় একই গ্রামের আশ্রাফ আলী খলিফার ছেলে তরিকুল ইসলাম খলিফা উত্ত্যক্ত করতো। এক পর্যায়ে সে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। বখাটে হওয়ায় তাঁর কাছে মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজি হয়নি বুলু বেগম। তিনি তরিকুলের ভয়ে গোপনে গত বছরের শেষের দিকে মেয়েকে অন্যত্র বিয়ে দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয় তরিকুল।
অভিযুক্ত তরিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের মুঠোফোনে বলেন, আমার সঙ্গে বুলু বেগমদের কোন বিরোধ নেই। তাকে কে মেরেছে তা জানি না।
এ ব্যাপারে নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল হালিম তালুকদার বলেন, বিষয়টি শুনেছি, এই ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কেআই//
আরও পড়ুন