ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৪ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

অবশেষে মায়ের কোলে ঠাঁই পেলো শিশুটি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৮:১৯, ৩ ডিসেম্বর ২০২০ | আপডেট: ১৮:২০, ৩ ডিসেম্বর ২০২০

Ekushey Television Ltd.

অবশেষে মায়ের কোলে ঠাঁই পেয়েছে রাস্তার পাশ থেকে কুড়িয়ে পাওয়া আনুমানিক পাঁচ মাস বয়সী ছেলে শিশুটি। পাঁচ লাখ টাকার বন্ডে সই দিয়ে শিশুটিকে দত্তক হিসেবে গ্রহণ করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার দুবলা গ্রামের নিঃসন্তান এক শিক্ষক দম্পতি। শিশুটিকে দত্তক নেয়া মা-বাবা দুজনই দুটি সরকারি কলেজের শিক্ষক।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মাসুদ পারভেজের নির্দেশে বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ শওকত হোসেন নতুন মায়ের কোলে শিশুটিকে তুলে দেন।

আদালতের শর্তানুযায়ী- দত্তক নেয়া মাতা-পিতা পাঁচ মাস বয়সী শিশুটিকে নিজের সন্তানের মর্যাদায় লালন পালন ও সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলবেন। নিজেদের সন্তান জন্মলাভ করলেও দত্তক নেয়া শিশুটিকে সন্তানের মর্যাদায় লালন পালন, সুশিক্ষায় শিক্ষিত করাসহ তাদের সম্পত্তির উত্তারাধিকারও করবেন। যদি কখনও শিশুটির প্রকৃত মা-বাবা উপযুক্ত প্রমাণ দিয়ে শিশুটিকে নিতে চায়, তাহলে শিশুটিকে প্রকৃত অভিভাবকের কাছে ফেরত দিতে বাধ্য থাকবেন। এছাড়াও শিশুটির সঠিক পরিচর্যা ও দেখভাল হচ্ছে কিনা- তা যাচাই-বাছাই করে জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করবেন।

এর আগে গত ২৯ নভেম্বর রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের ঢাকা-আগরতলা মহাসড়কের পাশে দুবলা গ্রামের একটি সড়কের পাশ থেকে ওই গ্রামের কৃষক জহিরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী পারভীন আক্তার শিশুটিকে উদ্ধার করেন। পাঁচ মাস বয়সী শিশুটিকে সেখানে একটি কলাগাছের ঝোঁপে কাপড় দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় ফেলে রেখে যায় কে বা কারা। শিশুটির কান্না শুনে জহিরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী পারভীন আক্তার তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান এবং বিষয়টি গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ পুলিশকে অবহিত করেন।

পরে রাতের বেলা সদর থানার পুলিশ শিশুটিকে জহিরুল ইসলামের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে ও হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করে দেন। কোনও অভিভাবক না থাকায় নার্সদের পাশাপাশি জহিরুল ইসলাম দম্পতিই শিশুটিকে দেখাশুনা করেন। পরে শিশুটিকে দত্তক নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন জহিরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী পারভীন আক্তার। এছাড়াও আরও নিঃসন্তান ১০ দম্পতি শিশুটিকে দত্তক নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। 

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ শওকত হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশে শিশুটিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে তার দত্তক মায়ের কোলে তুলে দেয়া হয়েছে।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি