কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে ঠাকুরগাঁও, জনজীবনে দুর্ভোগ
প্রকাশিত : ২১:৫১, ১৩ ডিসেম্বর ২০২০
উত্তরাঞ্চলে হিমালয়ের প্রতিবেশি জেলা ঠাকুরগাঁও। ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় স্থবির হয়ে পড়েছে এখানকার জনজীবন। শনিবার রাত থেকে শুরু হওয়া ঘন কুয়াশা রোববার সারাদিন ছিল; ফলে সূর্যের মুখ দেখা না যাওয়ায় দিনেরবেলাতেও সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চালিয়ে অনেক যানবাহন চলাচল করেছে। এরসাথে হিমশীতল বাতাসে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় ছিন্নমূল মানুষের কষ্ট বৃদ্ধির পাশাপাশি শ্রমজীবীদেরও পড়তে হচ্ছে বিপাকে। প্রশাসন বলছে, শীত মোকাবেলায় সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
জেলায় রোববার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এ অবস্থায় গরম কাপড়ের অভাবে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ছিন্নমুল ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা। কাজে বের হতে পারছেন না শ্রমজীবিরা।
এর আগের দিনগুলোতে বেলা বাড়ার সাথে কুয়াশা কিছুটা কেটে গেলেও আজ কুয়াশা কমেনি। শীতকে উপেক্ষা করে পেটের দায়ে জেলা শহরের চৌরাস্তা এলাকায় শ্রমজীবী মানুষেরা অপেক্ষা করলেও অধিকাংশ লোকজন কাজ না পেয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরছেন। আর শীতের কবলে পড়ে ফুটপাতে ছুটোছুটি করা ছিন্নমূল মানুষের কষ্ট যেন সীমাহীন। অনেকে সড়কের পাশে এবং সন্ধ্যার পর গ্রামের অধিকাংশ বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। এ অবস্থায় প্রকৃত দরিদ্র মানুষের মাঝে সরকারি সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবি জানিয়েছেন সামাজিক সংগঠনগুলোর নেতারা।
জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম জানান, শীত মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি নিয়ে আমরা ইতিমধ্যে মধ্যে একটি সভা করেছি। ওই সভায় একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে পাওয়া ২৬ হাজার কম্বল হতদরিদ্রদের মাঝে বণ্টনের জন্য পাঁচ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের দেয়া হয়েছে।
কে আই//
আরও পড়ুন