ঢাকা, রবিবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

হলুদের দিগন্তে স্বপ্নবোনে সরিষা চাষীরা

সাজেদুর আবেদীন শান্ত

প্রকাশিত : ২২:৩৭, ১৭ ডিসেম্বর ২০২০

হলুদের চাদরে ঢাকা বিস্তৃত ফসলের মাঠ। চারিদিকে শুধু হলুদ আর হলুদ। মনে হবে- পৃথিবী বুঝি তার রঙ হারিয়েছে, শুধু কালের বিবর্তনে হলুদ রঙটা যেন এখনও টিকে আছে। বলছিলাম- গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বাইগুণীর কাঁকড়াগাড়ি বিল ও তেকানী বিলের সরিষা ক্ষেতের কথা। যেখানে গেলে চোখের সামনে ভেসে উঠবে হলুদ সরিষার দোল খাওয়া ও পাখির কিচিরমিচির গুঞ্জণ।

প্রতিবছর এই সময়ে এ এলাকায় প্রায় তিনশ বিঘারও বেশি জমিতে সরিষা চাষ করা হয়। তাতেই যেন মনে হয়- পুরো মাঠ হলুদের রাজ্য। আর হলুদের রাজ্যে এপাশ থেকে ওপাশ রাজত্ব করে মৌমাছি। এক ফুল থেকে আরেক ফুলে ঘুরে ঘুরে করে মধু আহরণ। 

অন্যদিকে আশানুরূপ ফলন দেখে আনন্দে মুখে হাসি ফুটে ওঠে স্থানীয় কৃষকদের। সবুজের ডগায় হলুদ ফুলে কৃষক বোনে তার স্বপ্ন। তেমনই এক সরিষা চাষির সাথে কথা হয় তার হলুদ স্বপ্ন নিয়ে।

তিনি বলেন, প্রতিবছর সরিষার ক্ষেত দেখে আমাদের মন ভরে যায়। বিঘাপ্রতি পাঁচ-ছয় মণ করে সরিষা হতো। তবে আগের বছরের তুলনায় এবার শীত ও কুয়াশা বেশি হওয়ার কারণে মনে শঙ্কা। ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের কারণে সরিষার ফুল ঝরে যাচ্ছে। তবুও আশা করছি ভালো ফলন হবে।

জারিন হাদিয়া পুনব নামে স্থানীয় এক সৌন্দর্য পিপাসুর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন- হলুদে বিস্তৃণ ভূমি কাঁকড়াগাড়ী বিল এলাকা। এখানে আসতে সবারই ভালো লাগে। হলুদ সরিষায় সৌন্দর্যের লীলাভূমিতে পরিণত হয়েছে। যে কোনও পর্যটক আসলে তাদের অনেক ভালো লাগবে এই জায়গাটা।

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জানায়, সম্পূরক রবি শস্য হিসেবে এ এলাকার কৃষকেরা সরিষা চাষ করে থাকে। পাশাপাশি সরকারিভাবে কৃষকদের সরিষা বীজ প্রদান করা হয়েছে। চাষকৃত সরিষার সব জমিতেই শতভাগ ফুল এসেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।

এদিকে, হলুদময় সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসা সৌন্দর্য পিপাসুরা যেন সরিষার ফলনে ব্যাঘাত না ঘটায়, পর্যটকদের কাছে এটাই আবেদন স্থানীয় কৃষকদের।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি