ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

অটোচালক রনি মিয়া হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৮:৪৯, ২২ ডিসেম্বর ২০২০

দুই আসামি সোহেল মিয়া ও জাকির হোসেন।

দুই আসামি সোহেল মিয়া ও জাকির হোসেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অটোরিকশা চালক রনি মিয়া (১৪) হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে এর রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। সোমবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে গ্রেপ্তারকৃতরা আদালতে রনি মিয়াকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে বলে জানায় পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের মজলিশপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে মোঃ জাকির হোসেন (২৭) এবং সরাইল উপজেলার ইসলামাবাদ (গোগদ) গ্রামের শাহজাহান মিয়ার ছেলে মোঃ সোহেল মিয়া (২৫)।

আজ মঙ্গলবার পুলিশ জানায়- গত সোমবার বিকেলে গ্রেপ্তারকৃতরা আদালতে রনি মিয়াকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে। এর আগে গত রোববার রাতে সদর উপজেলার নন্দনপুর এলাকা থেকে পুলিশ জাকির হোসেন ও সোহেল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। 

লোমহর্ষক এ হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিতে গিয়ে আসামিরা জানায়- গত ১২ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় জাকির হোসেন ও সোহেল মিয়া তাদের সহযোগীদের নিয়ে মজলিশপুর গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে রনি মিয়ার অটোরিকশা ভাড়া করে পৌর এলাকার ছয়বাড়িয়া গ্রামের নির্মাণাধীন একটি আবাসন প্রকল্পের (ডিসি প্রজেক্ট) এর সামনে আসে।

পরে তারা রনি মিয়ার অটোরিকশাটি ছিনিয়ে নেয়ার উদ্দেশ্যে তার হাত পা বেঁধে তাকে ছুরিকাঘাত করে ও মাফলার দিয়ে পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে রনি মিয়াকে হত্যা করে তার লাশ প্রজেক্টের ভেতরে বালি চাপা দেয়। পরে তারা অটোরিকশা ও রনি মিয়ার মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়।

এদিকে রনি মিয়ার কোনও খোঁজ না পেয়ে তার বাবা দুলাল মিয়া গত ১৩ ডিসেম্বর সদর মডেল থানায় একটি জিডি (সাধারণ ডায়েরী) করেন।

গত ১৭ ডিসেম্বর ডিসি প্রজেক্টের ভেতরে বালি চাপা দেয়া অবস্থায় মানুষের পা দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ সেখান থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে। পরে দুলাল মিয়াকে খবর দিলে লাশ তার ছেলে রনি মিয়ার বলে শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় দুলাল মিয়া অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে গত ২০ ডিসেম্বর রাতে সদর উপজেলার নন্দনপুর এলাকা থেকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আবদুর রহিম বলেন- গ্রেপ্তারকৃতরা সোমবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি