টাঙ্গাইলে মধু আহরণের ধুম (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৫:৩৪, ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ | আপডেট: ১৫:৩৬, ২৭ ডিসেম্বর ২০২০
টাঙ্গাইলে সরিষা ক্ষেতে এখন মধু আহরণের ধুম। মৌচাষীরা এই মৌসুমেই এই জেলা থেকে একশ’ টন মধু সংগ্রহ করার আশা করছেন। অপরদিকে সরিষা ক্ষেতে মৌবাক্স স্থাপন করায় প্রায় ২০ শতাংশ ফলন বেড়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
যত দূর চোখ যায়, ছড়িয়ে আছে সরিষার ক্ষেত। দিগন্তব্যাপী মনকাড়া রংয়ের খেলা। এমন হলুদ প্রকৃতিতে বসেছে মৌবাক্স। চলছে মধু আহরণ।
শীত মৌসুম এলেই মধু সংগ্রহকারীরা তাদের মৌবাক্স নিয়ে চলে আসেন সরিষার দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎপাদন অঞ্চল টাঙ্গাইলে। এ বছর টাঙ্গাইল জেলায় প্রায় ৫ হাজার মৌবাক্স বসানো হয়েছে। প্রতি বাক্স থেকে সপ্তাহে মধু সংগ্রহ করা যায় ৬ থেকে ১০ কেজি। টাঙ্গাইলের মধুর চাহিদা ব্যাপক, যাচ্ছে বিদেশেও। এতে খুশি মধু সংগ্রাহকরা।
টাঙ্গাইলের মৌচাষীরা জানান, প্রতি বক্সে ৪ থেকে ৫ কেজি এবং মাছি যদি ভাল হয় তাহলে ৬ কেজি পর্যন্ত মধু পাওয়া যায়। এই মধু স্কয়ার, এপি ছাড়াও বিভিন্ন কোম্পানি নিয়ে থাকে। এখানে খুচরা ভাবেও মধু বিক্রি হয়।
এদিকে সরিষা ক্ষেতে মৌবাক্স বসানোতে লাভবান হচ্ছে কৃষক।
সরিষা চাষী জানান, মৌ খামারিরা আসলে আমাদের শস্য আরও বৃদ্ধি হয়, ফলন ভাল হয়।
চলতি বছর জেলায় ৪৫ হাজার ৬শ’ ৬০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। মৌবাক্স স্থাপন করলে সরিষার ফলন কম-বেশি ২০ শতাংশ বাড়ে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ আহ্সানুল বাসার বলেন, তাদের এই বিচরণের মাধ্যমে সরিষার ফুলের পরাগায়নটা বৃদ্ধি পায়। পরাগায়ন বৃদ্ধি পেলে ২০ শতাংশ পর্যন্ত সরিষার ফলন বেড়ে যায়।
সরিষার পাশাপাশি মধু সংগ্রহ। দুই মিলে স্বাচ্ছন্দ্য এসেছে চাষী ও মধু সংগ্রহকারীদের।
ভিডিও-
এএইচ/
আরও পড়ুন