ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৫ নভেম্বর ২০২৪

মুজিবুর রহমান স্মৃতি পাঠাগার যেন আগ্রাদ্বিগুনের আলোর শিখা!

রেজুয়ান আলম, ধামইরহাট থেকে

প্রকাশিত : ১৫:৪৭, ২৭ ডিসেম্বর ২০২০

পাঠাগারের একটি চিত্র।

পাঠাগারের একটি চিত্র।

নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার সীমান্তবর্তী ইউনিয়ন হিসেবে পরিচিত আগ্রাদ্বিগুন। প্রত্যন্ত এই এলাকায় কম বেশি যুবসমাজ মাদকের দিকে ধাবিত। ভয়াবহ মাদক থেকে বিরত রাখতে এবং সমাজের মানুষের মধ্যে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে গড়ে তোলা হয়েছে মুজিবুর রহমান স্মৃতি পাঠাগার। 

পাঠাগারটির প্রায় চার ভাগের তিন ভাগ কাজই সম্পন্ন হয়েছে, বাকি রয়েছে একভাগ। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এটি উদ্বোধন হতে যাচ্ছে বলেই জানালেন কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে- ধামইরহাট উপজেলা থেকে প্রায় ১৪ কি:মি: পশ্চিমে অবস্থিত ২নং আগ্রাদ্বিগুন ইউনিয়ন। ওই ইউনিয়নের মূল ফটক ঘেঁষে বাজারের ওপর অবস্থিত নিজ বাড়ির দ্বিতল ভবনে গড়ে উঠেছে এক আলোর শিখা। টানা ১৭ বছর ধরে সততা ও নিষ্ঠার সাথে ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মুজিবুর রহমান। 

এমনই পিতার মৃত্যুর পরে তার ছেলেরা তৈরী করেছেন মুজিবুর রহমান নামে ফাউন্ডেশন। ফাউন্ডেশনের পক্ষে থেকে অসহায় শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদানের পাশাপাশি নানান সামাজিক কাজে প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখা হয়। ওই ফাউন্ডেশনার পক্ষ থেকে নতুন রুপে তৈরী করা হয়েছে মুজিবুর রহমান স্মৃতি পাঠাগার। 

সীমান্তের প্রত্যন্ত এলাকায় এমন একটি মহতী উদ্যোগ নেওয়ায় পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা মো. আলমগীর কবির ভাসছেন জনগণের প্রশংসায়। তিনিই মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও গ্রীণ ভয়েস বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা মো. আলমগীর কবির পরিবেশবিদ হিসেবে সারা দেশে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছেন। এবার এলাকার যুবক-তরুণদের বই পড়ার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করতে এবং মানবিক মানুষ গড়ার লক্ষে তিনি এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।

বাজারের নিজস্ব মার্কেটের ২য় তালায় আনুমানিক ১ হাজার বর্গফুট যায়গা নিয়ে এবং ১০-১২ লাখ টাকা ব্যয়ে তৈরী হচ্ছে এই পাঠাগার। এখানে একসঙ্গে ৩০-৩৫ জন পাঠক বসে হাজারো বই থেকে জ্ঞান আহরণ করতে পারবেন।

সীমান্ত সংলগ্ন প্রত্যন্ত এই ইউনিয়নে রয়েছে প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। করোনায় দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় লেখাপড়া ছেড়ে অলস সময় পার করছেন শিক্ষার্থীরা।  এমন সময়ে প্রত্যন্ত ওই এলাকায় পাঠাগার স্থাপনের বিষয়টি এলাকার সচেতন মহলদের দৃষ্টি কেড়েছে।

সাহিত্য, সংস্কৃতি, জ্ঞান, বিজ্ঞান, বিনোদনের পাশাপাশি আঞ্চলিক ও জাতীয় পত্র-পত্রিকাসহ পাঠাগারে প্রজেক্টরের বড় পর্দায় দেখানো হবে বিভিন্ন দেশের শিক্ষণীয় বিষয়বস্তু। 

খুব অল্প সময়ের মধ্যে পাঠাগারটি সকলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশবিদ, শিক্ষানুরাগী মো. আলমগীর কবির। সেইসঙ্গে সবার দোয়াও কামনা করেছেন তিনি।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি