ঢাকা, শনিবার   ০৫ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

সন্তানকে ধর্ষণচেষ্টা দেখে ফেলায় মাকে প্রাণনাশের হুমকি

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৭:৩৪, ২৮ ডিসেম্বর ২০২০

অভিযুক্ত চাতাল মালিক হাফিজুল

অভিযুক্ত চাতাল মালিক হাফিজুল

Ekushey Television Ltd.

যশোরের শার্শায় পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে হাফিজুর (৬০) নামে এক চাতাল মালিকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের দ্বারা ওই চাতালে শ্রমিকের কাজ করা শিশুটির মাকে জোর করে সাদাকাগজে কাজ না করার শর্তে সই নিয়ে গোপনে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

ঘটনাটি গত ২৩ ডিসেম্বর রাতে ঘটলেও প্রকাশ পায় গত সোমবার সকালে। অভিযুক্ত চাতাল মালিক হাফিজুর সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার জিওলিতলা গ্রামের ইদ্রিস আলী মোড়লের ছেলে।

জানা যায়- চাতাল মালিক হাফিজুর শার্শা উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের গাতিপাড়ায় পাশাপাশি দুটি চাতাল ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করেন। ওই চাতালে খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার ঘুগরোখালি গ্রামের সাহাদত হোসেন ও তার স্ত্রী সালমা খাতুন শ্রমিকের কাজ করেন। ঘটনার দিন সালমা খাতুন চাতালে মিলিং এর কাজ শেষে রাত ৮টার দিকে অন্য চাতালে এসে তার ৫ বছরের মেয়েকে কান্নাকাটি করা অবস্থায় দেখতে পান এবং তার মেয়েকে প্যান্ট পরাচ্ছেন চাতাল মালিক হাফিজুর। 

বিষয়টি সন্দেহ হওয়ায় মেয়েকে কাছে নিয়ে পরীক্ষা করে অসামঞ্জস্যপূর্ণ অবস্থা দেখতে পান তিনি। এসময় হাফিজুর সালমা খাতুনকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখায় এবং বিষয়টি কোনও প্রকার জানাজানি হলে জীবন নাশের হুমকি দেয় হাফিজুর।

পরে মা সালমা এলাকার লোকজনকে সাথে নিয়ে থানায় যেতে চাইলে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের বাধায় আর যাওয়া হয়নি। তাদের আটকে রেখে গত ২৬ ডিসেম্বর সকালে সন্ত্রাসীরা জীবননাশের ভয় দেখিয়ে বিরাট অংকের টাকার বিনিময়ে সাদা কাগজে ‘আর কাজ করব না’-মর্মে লিখে নিয়ে গোপনে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।

খবর পেয়ে সংবাদকর্মীরা চাতালে গেলে স্থানীয় ইউপি মেম্বর আয়নাল বলেন- সব সাংবাদিকদের আমার জানা। সকালে থানা থেকে দুই পুলিশ কর্মকর্তা এসেছিল। পুলিশ-সাংবাদিকরা হাফিজুরের কিছু করতে পারবে না আমি থাকতে। এসব ঘটনা আমি কত মিমাংসা করেছি। আমার স্ত্রীর আত্মহত্যার ঘটনাটি আমি যেভাবে চাপা দিয়েছি, আর এটাতো ধর্ষণ। 

চাতাল মালিক হাফিজুরের নিকট শিশু ধর্ষণ চেষ্টার কথা জিজ্ঞাসা করলে বিষয়টি এড়িয়ে তিনি বলেন, যশোরে কর্মরত এসপি মর্যাদায় কর্মকর্তা আমার বোন হয়। আপনারা চেনেন কি না?

এ বিষয়ে শার্শা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বদরুল আলম খান বলেন, আমি মৌখিকভাবে ঘটনাটি শুনেছি। বিষয়টি আমি তদন্ত করার পর বলতে পারব। 

এনএস/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি