ক্ষতির মুখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৩৫ হাজার কৃষক (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৩:৩১, ১৬ জানুয়ারি ২০২১
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৬ হাজার হেক্টর জমির সেচ সুবিধা বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পের জন্যে বেশ কয়েক জায়গায় বন্ধ হয়ে গেছে আশুগঞ্জ-পলাশ এগ্রো ইরিগেশন প্রকল্পের মূল ক্যানেল। এতে সরাসরি ক্ষতির হুমকিতে পড়েছে ৩৫ হাজার কৃষক।
জেলা প্রশাসক জানান, সেচ প্রকল্প চালু রেখে সড়কের কাজ করতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণের কাজ চলছে। এই সড়কের পাশেই রয়েছে বিএডিসির সেচ প্রকল্পের প্রধান ক্যানেল। সড়ক প্রকল্পের জন্যে ভরাট করা হয়েছে ক্যানেলের বিভিন্ন অংশ।
সেচ প্রকল্পের পানি আসে আশুগঞ্জ পাওয়ার হাউজ থেকে। গত বছরের জুন মাসে হঠাৎ করে কুলিং রিজার্ভার হিসেবে ব্যবহৃত পুকুরটি বন্ধ করে দেয় বিদ্যুৎ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয় ক্যানেলটির বিভিন্ন অংশ ভরাট হয়ে গেছে। এই সেচ প্রকল্প বন্ধ হয়ে গেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, আশুগঞ্জ, সরাইল, নাসিরনগর ও নবীনগরের প্রায় ৩৫ হাজার কৃষক সমস্যায় পড়বে। সেচ সংকট দেখা দেবে ২২ ইউনিয়নের ১৬ হাজার হেক্টর জমি।
স্থানীয়রা জানান, হাজার হাজার একর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই সেচ প্রকল্পের পানি দিয়ে ইরি চাষ করি, এখন যদি খালে পানি না আসে তাহলে আমরা ধান চাষ করবো কিভাবে?
সেচ প্রকল্পটি চালু রাখবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ রবিউল হক মজুমদার বলেন, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের এই প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে গেলে তার বিকল্প সেচ ব্যবস্থা এখানে গড়ে তোলা হবে।
সেচ কাজ অব্যাহত রাখার ব্যাপারে চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার কথা জানান বিএডিসির এই কর্মকর্তা।
আশুগঞ্জ-পলাশ এগ্রো ইরিগেশন প্রকল্পের পরিচালক মো: ওবায়েদ হোসেন বলেন, কৃষকের স্বার্থে সেচ কাজটি অব্যাহত রাখার যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।
সেচ প্রকল্প সচল রাখার ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান বলেন, সেচ কার্যক্রম চলমান রেখেই এই সড়কের নির্মাণ কাজ পরিচালনা করার জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট অফিসগুলোকে জানিয়ে দিয়েছি।
সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের নকশা কিছুটা পরিবর্তন করে সমস্যার সমাধান হবে বললেন এলাকার সংসদ সদস্য।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য, র,আ,ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, দক্ষিণ দিক দিয়ে যদি এই প্রকল্পটি করা হতো তাহলে সেচ প্রকল্পটি নষ্ট হতো না। আমরা মনে করি, এখনও বিবেচনা করার সুযোগ আছে।
সেচ প্রকল্পটি রক্ষার দাবি জেলাবাসীর।
দেখুন ভিডিও :
এএইচ/
আরও পড়ুন