কর্ণফুলীর চরকে স্থায়ীভাবে জুয়ার আস্তানামুক্ত করার ঘোষণা
প্রকাশিত : ০০:১২, ২০ জানুয়ারি ২০২১
এএসপি মো. আনোয়ার হোসেন শামীমের নেতৃত্বে কর্ণফুলী নদীর চর এলাকায় জুয়াবিরোধী অভিযান।
চট্টগ্রামে জুয়াখেলার সরঞ্জাম ও জুয়া বোর্ডের টাকাসহ ৪ জুয়াড়িকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টায় জেলার রাঙ্গুনিয়া উপজেলাধীন মরিয়মনগর এলাকার মরম সাহেবের ঘাট সংলগ্ন কর্ণফুলী নদীর চরাঞ্চল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।
অভিযান শেষে স্থানীয়দের উপস্থিতিতে চট্টগ্রামের সহকারী পুলিশ সুপার (রাউজান-রাঙ্গুনিয়া সার্কেল) মো. আনোয়ার হোসেন শামীম এলাকাটিকে স্থায়ীভাবে জুয়ার আস্তানামুক্ত করার ঘোষণা দেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সার্কেল এএসপি আনোয়ার হোসেন শামীম এবং ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব মিল্কীসহ রাঙ্গুনিয়া মডেল থানা পুলিশ কর্ণফুলী নদীর নিকটবর্তী জঙ্গলাকীর্ণ এ স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে ৪ জুয়াড়িকে হাতেনাতে আটক করা হয়।
আটককৃত জুয়াড়িরা হলেন- রাঙ্গুনিয়া উপজেলার আমির কুলালপাড়া গ্রামের রেজাউল করিমের পুত্র আরিফ হোসেন (২২), একই এলাকার মো. জাফরের পুত্র মো. জুয়েল (২৪), সওদাগরপাড়া গ্রামের মৃত নুরুল আলমের পুত্র মো. দিদারুল ইসলাম (৪০) এবং উত্তর রাঙ্গুনিয়া ডেবার হাট গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের পুত্র মো. নুরে আলম (৩০)। এ সময় তাদের নিকট হতে নগদ টাকা, তাসসহ জুয়া খেলার সরঞ্জামাদিও জব্দ করা হয়।
জানা যায়, মরিয়ম নগর সংলগ্ন কর্ণফুলী নদীর চর এলাকাটি ঝোপ-জঙ্গলে ভরপুর হওয়ায় দীর্ঘদিন যাবৎ জুয়াড়িদের আড্ডাখানা হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছিলো। জুয়া ছাড়াও মাদক সেবনের কেন্দ্র ও বখাটে যুবকদের অভয়ারণ্য হিসেবে এলাকাটির পরিচিতিও ছিল সর্বজনবিদিত। স্থানীয় তরুণ সমাজ বিপথগামী হবার প্রেক্ষাপটে এলাকাবাসী দীর্ঘদিন যাবৎ পুলিশ প্রশাসনের নিকট স্থানটিকে জুয়ামুক্ত করার দাবি জানিয়ে আসছিলো।
এ প্রসঙ্গে অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া সার্কেল এএসপি মো. আনোয়ার হোসেন শামীম জানান, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আমরা কর্ণফুলী নদী তীরবর্তী বিস্তীর্ণ এই এলাকাকে জুয়ামুক্ত করার পদক্ষেপ গ্রহণ করি। এরই অংশ হিসেবে আজ আকস্মিক অভিযান চালিয়ে ৪ জুয়াড়িকে আটক করা হয়। স্থানীয় ব্যক্তিদের সহযোগিতা ও অংশগ্রহণে এই এলাকাকে স্থায়ীভাবে জুয়ামুক্ত করা হবে।
দেরিতে হলেও পুলিশের এই জুয়াবিরোধী অভিযান এবং এলাকাকে স্থায়ীভাবে জুয়ার আস্তানামুক্ত করার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এনএস/
আরও পড়ুন