পদ্মা সেতু ঘিরে তৈরি হচ্ছে আধুনিক বাস ও লঞ্চ (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৩:৫৪, ২০ জানুয়ারি ২০২১
পদ্মা সেতুর সুষ্ঠু ব্যবহারের উদ্দেশ্যে আধুনিক বাস নির্মাণ শুরু করেছেন বরিশালের পরিবহন মালিকরা। আর লঞ্চ মালিকরা বলছেন, তাদে ব্যবসায় পদ্মা সেতুর কোন বিরূপ প্রভাব পড়বে না। তবে, যাত্রী ধরে রাখতে ডকইয়ার্ডগুলোতে চলছে আধুনিক সুবিধার লঞ্চ তৈরির কাজ। এদিকে যাত্রীরা বলছেন, শুধু ব্যবসা নয়, সেবা ও নিরাপত্তায় মনযোগ দিতে হবে পরিবহন মালিকদের।
মাওয়া হয়ে বরিশাল-ঢাকা রুটে শতাধিক বাস চলাচল করে। সময় লাগে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা। পদ্মা সেতু এই সময় সাড়ে ৩ ঘণ্টায় নামিয়ে আনবে। ফলে যাত্রী চাহিদা মাথায় রেখে বরিশালের ওয়ার্কসপগুলোতে চলছে বাস নির্মাণ ও সংস্কারের কাজ।
ওয়ার্কসপ কারিগর ও ড্রাইভাররা জানান, যত সুন্দর করে বানাতে পারবে তার ততো যাত্রী বাড়বে। পদ্মা সেতু চালু হলে আমাদের ট্রিপ বাড়বে, ভাল ভাল গাড়ী বরিশালে ঢুকবে।
এদিকে যাত্রী ধরে রাখতে আধুনিক সুবিধাযুক্ত লঞ্চ তৈরি হচ্ছে ডকইয়ার্ডগুলোতে। সুইমিং পুল, লিফটসহ বিলাসবহুল কেবিনসহ লঞ্চ তৈরি হচ্ছে সুন্দরবন এবং সুরভী ডকইয়ার্ডে।
পদ্মা সেতুকে ঘিরে সড়কপথ ও নদী পথে যাত্রী পরিবহন নিয়ে ভিন্নমত আছে পরিবহন মালিক সমিতির নেতাদের।
জেলা বাস মালিক সমিতির সহ-সভাপতি মোঃ ইউনূস আলী খান বলেন, এখন আমরা যারা কেবিনে যাই, আমরা চিন্তা করবো ৩ ঘণ্টায় ঢাকা যেতে পারছি। তাহলে আমি কেন সারারাত লঞ্চে থাকবো। তখন সড়ক পথে যাত্রী বেশি হবে।
কেন্দ্রীয় লঞ্চ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, এখনও আমি মনে করি সড়ক পথের চেয়ে নৌপথ অনেক নিরাপদ।
তবে সেবা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন যাত্রীরা।
যাত্রীরা জানান, একজন যাত্রী সম্পূর্ণ নিরাপত্তায় থেকে তিনি যেন যাতায়াত করতে পারে। সেটি হোক স্থলপথ কিংবা নৌপথ।
পদ্মা সেতু কেবল ব্যবসা নয়, মান উন্নয়নের প্রতিযোগিতায় ঠেলে দিয়েছে পরিবহন ব্যবসায়ীদের।
ভিডিও :
এএইচ/এসএ/
আরও পড়ুন