ঠাকুরগাঁওয়ে আমের আগাম মুকুল
প্রকাশিত : ১৯:৪৩, ২০ জানুয়ারি ২০২১
ঠাকুরগাঁওয়ে আম গাছে ফুটতে শুরু করেছে আগাম মুকুল। বাতাসে ভেসে রেড়াচ্ছে এর মুকুলের গন্ধ। আমের আগাম মুকুল জানান দিচ্ছে মধু মাস সমাগত।
নির্ধারিত সময়ের প্রায় এক মাস আগেই আবহাওয়াগত ও জাতগত কারণেই মূলত আমের এই মুকুল আসতে শুরু করেছে। তবে চলতি মাসের শেষের দিকে প্রতিটি গাছেই পুরোপুরিভাবে মুকুল ফুটতে শুরু করবে। যেসব গাছে আগাম মুকুল আসতে শুরু করেছে তার বাগান মালিকরা পরিচর্যাও শুরু করে দিয়েছেন রীতিমত। বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে এ বছর আমের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন চাষি ও বাগান মালিকরা।
আম বলতে এক সময় উত্তরের চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহীকেই বোঝাত। কিন্তু এখন অবস্থা অনেকটা ভিন্ন। ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ, লোহাগাড়া, কাতিহার, রাণীশংকৈল এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে প্রায় সব জাতের আম উৎপাদন হচ্ছে। লাভজনক হওয়ায় প্রতি বছর কৃষি জমিতে বাড়ছে আমের আবাদ।
এসব অ লের আম চাষিরা জানান, শীতের তীব্রতা থাকলেও গেল কয়েক সপ্তাহ থেকেই আম গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার গাছগুলোতে মুকুলের সমারহ ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। আম চাষিরা আশা করছেন, আবহাওয়া অনুকূল থাকলে নিশ্চিতভাবে আমের বাম্পার ফলন হবে। এসব অ ল ছাড়াও বিভিন্ন উপজেলায় রয়েছে বড় বড় আমের বাগান।
লোহাগাড়া বাজার সংলগ্ন আম চাষি আব্দুল বাসেত জানান, প্রায় দুই সপ্তাহ থেকে আম গাছের প্রাথমিক পর্যায়ের পরিচর্যা শুরু করে দিয়েছি। মুকুলের মাথাগুলোকে পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য ওষুধ স্প্রে করা হচ্ছে। প্রায় গাছেই আমের মুকুল আসা শুরু হয়েছে। আশা করছি এবার আমের ফলন ভালো হবে।
এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আফতাব হোসেন বলেন, ফেব্র“য়ারি মাসেই মূলত আম গাছে মুকুল আসা শুরু হয়। আগাম যেসব গাছে মুকুল আসছে তা কেবল আবহাওয়াগত ও জাতের কারণে। গাছে আগাম মুকুল আসার বিষয়ে তিনি বলেন, জেলায় প্রতি বছর আম বাগানের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। বিশেষ করে ল্যাংড়া, গোপালভোগ, ক্ষীরসাপাত, আশ্বিনা জাত বেশি। মূলত তিনটি পর্যায়ে আমের মুকুল আসে। যার প্রথম পর্যায় শুরু হয়েছে। পুরোনো জাতের গাছগুলোতে মুকুল ধরেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মাসের শেষের দিক পর্যন্ত সব গাছে মুকুল দেখা যাবে। গত বছর ডিসেম্বরের শেষের দিক থেকেই গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছিল।
আরকে//
আরও পড়ুন