কনকনে ঠাণ্ডায় ফের জবুথুবু উত্তরের জনপদ
প্রকাশিত : ১৮:৪৫, ২৬ জানুয়ারি ২০২১
শীত ও কনকনে ঠাণ্ডায় কাবু হয়ে পড়েছে উত্তরের জনপদ কুড়িগ্রামের মানুষ। আজ মঙ্গলবার দিনভর সূর্য্যের দেখা না মেলায় উত্তরীয় হিমেল হাওয়া বাড়িয়ে দিয়েছে ঠাণ্ডার মাত্রা। এ অবস্থায় ব্যাহত হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা।
এর আগে গত তিনদিন ধরে দিনেরবেলা সূর্য্যের দেখা মিললেও রাত ৮টার পর ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিল প্রকৃতি এবং তা অব্যাহত ছিল সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত। কিন্তু মঙ্গলবার বেলা গড়িয়ে গেলেও মেলেনি সূর্য্যের দেখা। কুয়াশায় ঢেকে আছে প্রকৃতি।
স্থানীয় আবহাওয়া অফিসের কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষক সুবল চন্দ্র সরকার জানায়, মঙ্গলবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
এতে ঠাণ্ডার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন জেলার কৃষি শ্রমিকরা। বোরো চাষের ভরা মৌসুম চললেও কনকনে ঠাণ্ডায় শ্রমিকরা ঠিকমত মাঠে কাজ করতে না পারায় ব্যাহত হয়ে পড়েছে বোরো আবাদ। কনকনে শীতে গরম কাপড়ের অভাবে দুর্ভোগ বেড়েছে ছিন্নমূল, হতদরিদ্র পারিবারের শিশু ও বৃদ্ধদের।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার উমরমজিদ ইউনিয়নের কৃষি শ্রমিক আরমান আলী জানান, এই শীতে এমনিতেই হাত-পা বাইরে রাখা মুশকিল হয়ে পড়েছে। তার ওপর পানিতে নেমে রোয়া লাগানো অসাধ্য কাজ।
কুড়িগ্রাম শহরের রিকশা চালক আলম মিয়া জানান, গত কয়েকদিন রাতের বেলা ঠাণ্ডা বেশি থাকলেও দিনে তেমন ঠাণ্ডা ছিল না। কিন্তু এখন যে অবস্থা, তাতে গরম জামা কাপড় গায়ে লাগিয়ে রিকশা নিয়ে বেরিয়েছি। কিন্তু তাতেও টেকা যাচ্ছে না। শিরশির বাতাস জামা-কাপড় ভেদ করে ভিতরে ঢুকছে।
অন্যদিকে টানা শীতে জেলার হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে শীত জনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। বিশেষ করে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ নানা ঠাণ্ডাজনিত রোগে।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. পুলক কুমার সরকার জানান, কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ২৫ জন ডায়রিয়া ও ৬ জন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে। স্বাভাবিকের চেয়ে গত ১৫ দিন ধরে রোগীর সংখ্যা একটু বেশি বলে জানান তিনি।
এনএস/
আরও পড়ুন