ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৪ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

সন্দ্বীপে ‘দ্বীপবন্ধু মুস্তাফিজুর রহমান জেটি’ উদ্বোধন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৪৬, ৩০ জানুয়ারি ২০২১

Ekushey Television Ltd.

চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে গতকাল ‘দ্বীপবন্ধু মুস্তাফিজুর রহমান জেটি’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সন্দ্বীপে বিশেষ অর্থনৈতিক জোন বাস্তবায়ন হলে এখানে বিদেশী বিনিয়োগ হবে। এ এলাকার খাল খনন ও ইকোপার্ক নির্মাণসহ যেসব দাবি স্থানীয় জনগণ করছে, তা বাস্তবায়ন হয়ে যাবে। এখানে ইকোপার্ক হলে বিভিন্ন জায়গা থেকে পর্যটকরাও আসবে।

এ সময় বিগত সরকারগুলোর ভূমিকা নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, জিয়া-এরশাদ-খালেদা ২১ বছর দেশকে উল্টো পথে চালিয়েছে। তিনি বলেন, উন্নয়নে তাদের কোনো স্বপ্ন ছিল না। গত ১২ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে সঠিক পথে পরিচালিত করেছেন।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী দিনবদলের সনদ ঘোষণা করেছিলেন। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ মনে করে দিনবদল হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শুধু স্বপ্ন দেখান না, তিনি স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেন। তার নেতৃত্বে আমাদের টাকায় পদ্মা সেতু হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলছে। প্রধানমন্ত্রীর কর্মকাণ্ড শুধু দেশে নয়, পুরো বিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে। উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের ‘রোল মডেল’। প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন আর পজিটিভ চিন্তাগুলো আগামী আট বছরে শুধু রোল মডেল নয়, বাংলাদেশ হবে একটি উন্নত মানবিক বাংলাদেশ।

জেটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতা বলেন, এখানে ডুবে আমার দাদি মারা গেছেন। আমার ফুফু মারা গেছেন। আমি নিজেও এখানে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছি।

সন্দ্বীপের বাসিন্দা কানু মিয়া বলেন, আগের জেটি ভেঙে গেছে। ওখান দিয়ে হাঁটাহাঁটিও করা যায় না। অর্ধেক গিয়ে আবার এই কাঁদার মধ্যে হাঁটতে হয়।

সন্দ্বীপের পৌর এলাকার বাসিন্দা মোসলেম বলেন, জেটি না থাকায় ভালো লঞ্চ নেই। আর ট্রলার ডুবে প্রতি বছর মানুষ মরে। ভাটা আর শুকনো মৌসুমে অসুস্থ রোগী, নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের সমস্যায় পড়তে হতো। কাঁদাপানি মাড়িয়ে নৌযানে উঠতে হতো। নতুন এই জেটি নির্মাণে আমাদের কষ্ট লাঘব হলো।

সন্দ্বীপবাসীর যাতায়াত ও তাদের মালামাল ওঠা-নামার সুবিধার্থে সন্দ্বীপের ল্যান্ডিং স্টেশনে ৭০০ মিটার দৈর্ঘ্যের পাকা কংক্রিটের (আরসিসি) জেটি নির্মাণ করা হয়েছে। জেটির পাশাপাশি পার্কিং ইয়ার্ড, যাত্রীছাউনী, লাইটিং সিস্টেম, রেলিং, বাউন্ডারি ওয়ালসহ আনুষঙ্গিক সুবিধাদি নির্মাণ করা হয়েছে।

নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এ কাজগুলো সম্পন্ন করেছে। এজন্য ব্যয় হয়েছে প্রায় ৫১ কোটি টাকা।

এই ল্যান্ডিং স্টেশন নির্মাণে ৫২ কোটি ৬৪ টাকা প্রাক্কলন করা হলেও এতে মোট ব্যয় হয়েছে ৫০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। ফলে সরকারের ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা সাশ্রয় হয়েছে।
এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি