যমুনায় পরিকল্পিত খনন জরুরি (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:৩৫, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১
সিরাজগঞ্জে সহজ ও সাশ্রয়ে যাতায়াতে কয়েক বছর আগেও ভরসা ছিল যমুনা নদী। বর্তমানে নদীর ৮০ কিলোমিটার জুড়ে ছোট-বড় কয়েকশ’ চর জেগে নৌ-চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। কোনো কোনো জলপথ একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে। স্বাভাবিক প্রবাহ পুনরুদ্ধার ও ভাঙন ঠেকাতে যমুনার পরিকল্পিত খনন জরুরি বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
যমুনায় বঙ্গবন্ধু সেতুর নিচে বিশাল অংশজুড়ে এখন পানি নেই। জেগে ওঠেছে কয়েকশ’ চর। কোথাও বা হাঁটুজল। ব্যাহত হচ্ছে নৌযান চলাচল।
তিন মাস আগেও পাবনার বেড়া, মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর-চৌহালী, কাজিপুর-জামালপুরে ৮০ কিলোমিটার নৌপথে ইঞ্জিন চালিত নৌকায় যেতে সময় লাগতো দেড় ঘণ্টা। এখন লাগে দ্বিগুণেরও বেশি।
স্থানীয়রা জানান, আগে ভরপুর পানি ছিল, নৌকায় পার হতে ভয় করতো। আল্লাহ আল্লাহ করতাম আমরা। ভেড়িবাঁধ আসতে ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট সময় লাগতো এখন দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা সময় লাগে। নদীতে নতুন নতুন চর ওঠাতে যাতায়াতে খুবই অসুবিধা।
নৌপথকে প্রাধান্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু সেতুর উত্তর ও দক্ষিণ পাশ ঘিরে লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগে ৩টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠছে। পরিকল্পিত খনন করে নদীর নাব্যতা ফেরানোর পাশাপাশি কুড়িগ্রাম থেকে পাবনা পর্যন্ত ২২০ কিলোমিটার রিভার ড্রাইভ রোড গড়ে তোলার দাবি উন্নয়নবিদদের।
সিরাজগঞ্জ ইকোনমিক জোনের পরিচালক শেখ মনোয়ার হোসেন বলেন, নদীকে ড্রেজিং করা হোক দুই পাড়ে রিভার ড্রাইভ নামক ৬ লেন ৪ লেন রাস্তা করা হোক।
মানব মুক্তির উন্নয়ন কর্মী ও নির্বাহী পরিচালক হাবিব উল্লাহ বাহার বলেন, নদীতে যে মেইন চ্যানেলগুলো আছে সেগুলো ড্রেজিং করে গভীরতা ঠিক রেখে নৌকা চলাচলের ব্যবস্থাটা নিশ্চিত করা দরকার।
নদী খননে প্রকল্প গ্রহণের কথা জানালেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের এই কর্মকর্তা।
সিরাজগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সফিকুল ইসলাম বলেন, নদী থেকে ভূমি পুনরুদ্ধার এবং বিভিন্ন অর্থনৈতিক অঞ্চলের পরিকল্পনা সরকারের আছে। এ লক্ষ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করে যাচ্ছে।
নদী ও নদীপথ বাঁচাতে শিগগিরই কার্যকর উদ্যোগ দেখতে চান যমুনা পাড়ের বাসিন্দারা।
ভিডিও-
এএইচ/
আরও পড়ুন