আদর্শ গ্রামের মর্যাদা পাচ্ছে ‘দুড়াকুটি আইটি গ্রাম’ (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৩:২৮, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১
দুড়াকুটি, লালমনিরহাট সদর উপজেলার সীমান্ত ঘেঁষা গ্রাম। পিছিয়ে থাকা প্রত্যন্ত গ্রামটি এখন আদর্শ গ্রামের মর্যাদা পেতে যাচ্ছে। দুড়াকুটি এখন আইটি গ্রাম নামে পরিচিত। এই গ্রামের তরুণদের অন্যতম পেশা আউট সোর্সিং। প্রতিমাসে তারা আয় করছেন কোটি টাকা।
দুড়াকুটি গ্রামের শিক্ষিত তরুণ-তরুণীরা এখন আর বেকার নয়। প্রযুক্তি নির্ভর আউট সোর্সিং এখন তাদের আয়ের উৎস। প্রধানত গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করছে তরুণরা। ঘরে বসেই কাজ, তাই করোনাকালেও থেমে নেই কর্মীর হাত।
দুড়াকুটি গ্রামের আকলিমা আক্তার আখি, কলেজছাত্রী জান্নাতুল ফেরদৌসী ও শিক্ষিত গৃহবধূ মাকসুদা আক্তারের জীবন গল্প বদলে দিয়েছে আউট সোর্সিং।
ফ্রিল্যান্সার আকলিমা আখতার জানান, এক মাসে ১ লাখ ৯৯ হাজার টাকা আয় করেছি। কোন মেয়ে যেন থেমে না থাকে, আমার মতো যেন চেষ্টা করে ঘরে বসে থেকে কিছু রোজগার করার। জান্নাতুল ফেরদৌসী বলেন, এ পর্যন্ত গড়ে ১০ হাজার ডলার আয় করেছি। এটা এতো সহজ কাজ যে, মেয়েরা ঘরে বসেই করতে পারে। মাকসুদা আখতার বলেন, সংসার সামলে আমি অনেক ভালো আয় করছি।
গ্রামের শিক্ষিত যুবকরাও আর চাকরির সন্ধান করছেনা।
ফ্রিল্যান্সার আনোয়ার হোসেন, সারোয়ার জাহান বাদল, মিজানুর রহমান ও আবু সাঈদ বলেন, প্রতিমাসে ১ হাজার ডলারের বেশি আয় হচ্ছে। এখন পর্যন্ত আমি খুব একটা ভালো অবস্থানে আছি। সংসার থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত সবকিছুই ম্যান্টেন্ড করতে পারছি খুব সহজে। এটি খুবই একটি সহজ বিষয় কিন্তু দায়িত্বশীল থাকতে হবে। যারা আমরা ফ্রিল্যান্সিং করি তারা সৎভাবে উপার্জন করি এবং সেই টাকা দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি।
বদলে যাওয়া দুড়াকুটির প্রাণ জাহাঙ্গীর আলম সরকার। ২০১৪ সালে শুরু, এপর্যন্ত বিনামূল্যে আইটি প্রশিক্ষণ দিয়েছেন হাজারের অধিক তরুণ-তরুণীকে। যুক্ত করেছেন আউট সোর্সিং-এর কাজে।
উদ্যোক্তা ও প্রশিক্ষক জাহাঙ্গীর সরকার বলেন, আমরা কিন্তু ইন্টারন্যাশনালী বিজনেস করছি। আমার বিজনেসের রেজিস্ট্রেশন ইউএস এবং ইউকে-তে। আমরা চাইলেই যে কোন দেশের সঙ্গে বিজনেস করতে পারি।
দুড়াকুটির মানুষের দাবি, গ্রামটিতে একটি ইন্সটিটিউশন প্রতিষ্ঠার।
ভিডিও :
এএইচ/ এসএ/
আরও পড়ুন