চুয়াডাঙ্গায় নির্বাচনী অফিসে হামলা
১৬৯ জনকে আসামি করে মামলা
প্রকাশিত : ১৪:১০, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২১
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনকে ঘিরে পাল্টাপাল্টি হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। যেখানে আসামি করা হয়েছে ১৬৯ জনকে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে নৌকা ও মোবাইল ফোন প্রতীকের অন্তত ছয়টি অফিস ভাঙচুর করা হয়। এ সময় আহত হন তিনজন। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি এই পৌরসভায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন, আলমডাঙ্গার গোবিন্দপুরের রবিউল ইসলাম (৫২) ও আলতাফ হোসেন (৩৫)।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নৌকা প্রতীকের সমর্থকেরা মোটরসাইকেলে মহড়া দিতে দিতে কলেজপাড়া ও আনন্দধামে যায় এবং সেখানে মোবাইল ফোন প্রতীকের কার্যালয় ভাঙচুর এবং মোবাইল ফোনের কর্মী নজরুল ইসলামের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। প্রতিশোধ হিসেবে মোবাইল ফোনের কর্মীরা চাতাল মোড় , কলেজপাড়া ও গোবিন্দপুর এলাকায় নৌকার চারটি অফিস ভাঙচুর করে। এ সময় নৌকার কর্মী বিপ্লব, রশিদ ও শাহীন আহত হন। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় নৌকার প্রার্থী হাসান কাদির গণু ও মোবাইল ফোন প্রতীকের প্রার্থী সবেদ আলী পাল্টাপাল্টি দোষারোপ করেছেন।
নৌকা প্রতীকের কর্মী আ স ম আলাউদ্দিন বাদী হয়ে মোবাইল ফোন প্রতীকের ৪৯ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ১২০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির বলেন, ‘একপক্ষের মামলা হলেও এখন পর্যন্ত অপরপক্ষের কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।’
এআই/ এসএ/
আরও পড়ুন