নারায়ণগঞ্জের ফুলের গ্রামে ফুল প্রেমীদের ঢল
প্রকাশিত : ১৯:৩৭, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | আপডেট: ১৯:৪০, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১
ঋতুরাজ বসন্তে ফুলের গন্ধে ঘুম কেড়ে নেয়া গ্রামের নাম সাবদি। নারায়ণগঞ্জ বন্দর এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের তীর ঘেঁষা এ গ্রামে হরেক রকম ফুলের সুবাসে তনু-মন মাতাল করে দেয় ফুল প্রেমীদের। গ্রামটির বাহারি রঙের ফুল সারা দেশে সরবরাহ করে থাকে চাষীরা।
নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলার সাবদি, দীঘলদি, মাধবপাশা ও আইছতলাসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামে বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষ করা হয়। গলাগাছিয়া ইউনিয়নের এসব গ্রামের ১০ থেকে ১৫ হাজার নারী-পুরুষ ফুল চাষ করেই এখন স্বাবলম্বী। এ বছর প্রায় ৭০ হেক্টর আবাদি জমিতে ২৪ ধরনের ফুল চাষ হয়েছে। পহেলা ফাল্গুন, বসন্তের ভালোবাসা দিবস ও ২১শে ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা ও শহীদ দিবসকে ঘিরে দুই থেকে তিন কোটি টাকার ফুল বিক্রির আশা করছেন এই চাষীরা।
মন কাড়া সব ফুলের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে প্রতিদিনই রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজারো দর্শনার্থী এসে ভিড় করেন এই গ্রামে। গাঁদা, রজনীগন্ধা, গ্লাডিওলাস, জারবেরা, বাগানবিলাস, চন্দ্রমল্লিকা, ডালিয়া, কসমস, দোলনচাঁপা, নয়নতারা, মোরগঝুঁটি, কলাবতী, বেলি, জিপসি, চেরি, কাঠমালতি, আলমণ্ডা, জবা, রঙ্গন, টগর, রক্তজবা ফুলের গন্ধে নিজেকে হারিয়ে প্রকৃতি অপার স্বাদ নেন তারা।
বন্দর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারহানা সুলতানা জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর করোনা মহামারী ও জমিতে পানি থাকায় অনেকটাই কমে গেছে ফুলের চাষ। এই সময়ে বড় বড় চাষীরা ঝুঁকি নিলেও সবজি ও ফল চাষের দিকেই ঝুঁকছেন ক্ষুদ্র চাষীরা। যে কারণে গত বছর ২ শতাধিক চাষী ফুল চাষ করলেও এবার তা ১২৪ জনে নেমে এসেছে।
এদিকে, চাষীদের দাবি, সরকার যদি ঋণের সুদ হার কমিয়ে দেয় তাহলে সব চাষীরা ফুল চাষ করতে পারবেন। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ ইসহাক জানান, করোনার কারণে কিছুটা ক্ষতি হওয়ায় সরকার এ বছর কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণের ব্যবস্থা করেছে। এতে করে ফুল চাষীরা লাভবান হতে পারবে।
আর এ পরিস্থিতিতে সাবদি গ্রামের ফুল ও প্রকৃতি বাঁচিয়ে রাখতে সংশ্লিষ্টদের আরও পৃষ্টপোষকতা প্রয়োজন বলেই মনে করছেন পরিবেশবীদরা।
এনএস/
আরও পড়ুন