একই পরিবারের ৪ সদস্য হত্যায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড
প্রকাশিত : ২৩:৪৬, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১
কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দিয়াডাঙ্গা গ্রামের সুলতান আহমেদের বাড়ীতে রাতে একই পরিবারের ৪ জনকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। মামলায় ৭ আসামীর মধ্যে একজন খালাস ও মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত এক আসামী পলাতক রয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আব্দুল মান্নান এ রায় প্রদান করেন। রায় ঘোষণার পরপরই আসামীরা কাঠগরা ভাংচুর করে বিচারককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পরে পুলিশ তাদের নিবৃত করে কারাগারে নিয়ে যায়। নিহতদের স্বজন রফিক আহমেদ মামলার বাদী এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। এবং রায় দ্রত বাস্তবায়ন করার জন্য মহামান্য আদালতকে অনুরোধ করেন।
মামলায় ৭ আসামীর মধ্যে মমতাজ উদ্দিন, নজরুল ইসলাম মজনু, আমির হামজা, জাকির হোসেন, জালাল গাজি, হাসমত আলীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। এর মধ্যে জালাল গাজি পলাতক রয়েছে। অপর আসামী নাইনুল ইসলামকে খালাস দেয় আদালত।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি ছিলেন, এ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন এবং আসামী পক্ষের আইনজীবি ছিলেন, এ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান দুলুসহ ৫ আইনজীবি।
২০১৪ সালের ১৪ জানুয়ারী ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দিয়াডাঙ্গা গ্রামে সুলতান মিয়ার বাড়ীতে একদল মুখোসধারী গভীর রাতে প্রবেশ করে সুলতান মন্ডল তার নাতনী রোমানা, আনিকা ও স্ত্রী হাজেরাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় পরদিন নিহত সুলতানের ছেলে হাফিজুর রহমান ভুরুঙ্গামারী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা সুত্রে জানা যায়, আসামী মমতাজ উদ্দিনের সাথে ছোট ভাই নিহত সুলতান আহমেদের বিরোধ ছিল। মমতাজ উদ্দিন সুলতান আহমেদকে হত্যার জন্য বাকী দন্ডপ্রাপ্ত আসামীদের ৫ লাখ টাকা ও একবিঘা জমি দেয়ার চুক্তিতে ভাড়া করে।
পাবলিক প্রসিকিউটর এ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন বলেন, চার্জশীট দাখিলের দ্রুততম সময়ে এ রায় ঘোষণা করা হল। এই রায়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। রায় ঘোষণার পর দন্ডপ্রাপ্ত আসামীদের কাঠগড়া ভাংচুরের ঘটনার মত ঔদ্ধত্যপুর্ণ আচারনই প্রমাণ করে তারা কতটা দুর্ধষ।
কেআই//
আরও পড়ুন