সম্পত্তির লোভে মাকে খুন, সাজালো অপহরণের নাটক
প্রকাশিত : ১৫:০১, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১

যে মা ১০ মাস ১০ দিন পেটে ধরে ছিল, নিজে না খেয়ে ছেলেকে খাইয়ে বড় করেছিল। সেই মাকে সম্পত্তির লোভে খুন করে এক পাষণ্ড ছেলে। এখানেই শেষ নয়, মায়ের বস্তাবন্দী লাশ পুকুরে ফেলে নিজেই থানায় গিয়ে অপহরণের জিডি করে সাজালো এক নাটক।
এ ঘটনা কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের দক্ষিণ কাটদহ এলাকার। ৩৪ দিন পর গতকাল মঙ্গলবার সেই লাশ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ ঘটনায় ঘাতক ছেলে মুন্না বাবুসহ (৩২) আরও ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভির আরাফাত। এ সময়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ফরহাদ হোসেন, গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আমিনুল ইসলাম, পরিদর্শক আশরাফুল ইসলামসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সুপার এসএম তানভির আরাফাত জানান, মমতাজ বেগমের এক ছেলে ও ৩ মেয়ে। মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে। স্বামী মারা যাওয়ার পর তিনি একমাত্র ছেলে মুন্না বাবুর সঙ্গে বসবাস করতেন। মা যাতে মেয়েদের সম্পত্তির ভাগ দিতে না পারে সেই লক্ষে বন্ধু রাব্বি ও চাচা আব্দুল কাদেরকে নিয়ে মাকে হত্যার পরিকল্পনা করে ছেলে মুন্না।
তিনি আরও জানান, পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২০ জানুয়ারি মমতাজকে হত্যা করে লাশ বস্তাবন্দী করে পুকুরে ফেলে দেয়। পরে ২১ জানুয়ারি ছেলে মুন্না বাবু মিরপুর থানায় তার মাকে কে বা কারা অপরণ করেছে এই মর্মে একটি জিডি করে। কেবল তাই নয়, এরপর মুন্না তার বন্ধু রাব্বিকে অপহরণকারী সাজিয়ে তার (মুন্না) দুলাভাইয়ের কাছে ফোন করিয়ে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন।
জিডি ও ফোন কলের সূত্র ধরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরহাদ হোসেনের নেতৃত্বে তদন্তে নামে গোয়েন্দা পুলিশ। এ ঘটনায় ছেলে মুন্না, তার বন্ধু রাব্বি ও চাচা আব্দুল কাদেরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এএইচ/এসএ/
আরও পড়ুন