সিদ্ধিরগঞ্জে মাদ্রাসাছাত্র হত্যার অভিযোগে শিক্ষকসহ গ্রেফতার ৭
প্রকাশিত : ২০:১২, ১২ মার্চ ২০২১ | আপডেট: ২০:১৪, ১২ মার্চ ২০২১
নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জে কওমি মাদ্রাসার ছাত্র সাব্বিরকে হত্যার অভিযোগে মাদ্রাসার তিন শিক্ষক ও চারছাত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে রসুলবাগ মাঝিপাড়া রওজাতুল উলম মাদ্রাসা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
পরে শুক্রবার নিহত সাব্বিরের বাবা বাদী হয়ে মামলা করলে আজ শুক্রবার দুপুরে তাদের আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ। নিহত ছাত্র সাব্বির আহম্মেদ (১৪)। সে রূপগঞ্জ থানার বরপা এলাকার মো. জামাল হোসেনের ছেলে।
গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন, মাদ্রাসার শিক্ষক চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণ থানার মধুপুর এলাকার নূরুল ইসলাম মিয়াজির ছেলে শামীম, ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর থানার ইমাদপুর এলাকার আলাউদ্দিনের ছেলে মাহমুদুল হাসান, ঢাকার গেন্ডারিয়া থানার শাখারিনগর এলাকার মোজাম্মেল হকের ছেলে আবু তালহা, মাদ্রাসার ছাত্র, নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার উত্তর লক্ষণখোলা এলাকার আবুল কালামের ছেলে আবু বক্কর, ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার কাজা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে শওকত হোসেন সুমন, একই জেলার ফুলপুর থানার ইমাদপুর গ্রামের মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে জুবায়ের আহমেদ ও চাঁদাপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার ভাটিরগাঁও গ্রামের মৃত. তমসির মিয়ার ছেলে আাব্দুল আজিজ।
মামলার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, সাব্বির ওই মাদ্রাসায় আবাসিকভাবে থেকে হিফজ বিভাগে পড়তো। গত ১০ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শিক্ষক যুবায়ের জামাল হোসেনের মোবাইলে ফোন দিয়ে নিহত সাব্বির এর বাবাকে জানায়, ছাদে ওঠার সিঁড়ি সংলগ্ন ফাঁকা রডের সঙ্গে গলায় গামছা পেঁচিয়ে সাব্বির আত্মহত্যা করেছেন।
খবর পেয়ে নিহতের বাবা মাদ্রাসায় গিয়ে অন্যান্য ছাত্র ও শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে নিহত সাব্বিরের লাশ বাড়িতে নিয়ে দাফনের প্রস্তুতি নেয়। লাশের গোসল করানোর সময় ঠোঁটে, কপালে ও মাথার ডান দিকে আঘাতের চিহ্নসহ গালায় রশির দাগ দেখা যায়।
তখন সন্দেহ হয় সাব্বিরকে হত্যা করা হয়েছে পরে শিক্ষকরা আত্মহত্যার নাটক সাজানো হয় বলে দাবি করেন তিনি। পরে এই বিষয়টি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে জানালে মাদ্রাসা শিক্ষকরা অজ্ঞাতনামা নিহতের বাবাকে মোবাইলে কল দিয়া জানায় ছেলের মৃত্যুর বিষয়টি পুলিশকে না জানানোর জন্য বিভিন্নভাবে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন তারা। তখনই নিহত সাব্বিরের বাবা বুঝতে পারেন হত্যা করা হয়েছে তার ছেলেকে।
মাদ্রাসার শিক্ষক ও সহযোগীদের আঘাতে মারা যান সাব্বির আত্মহত্যা বলে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার জন্য লাশ গামছা দিয়ে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে সাধারণ ছাত্রদের মধ্যে প্রচার করে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। পরে নিহত সাব্বিরের বাবা জামাল হোসেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানায়-পুলিশকে ঘটনা জানালে রাতে পুলিশ ওই মাদ্রাসায় গিয়ে শিক্ষক ও ছাত্র সাতজনকে গ্রেফতার করেন।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মশিউর রহমান জানান, আদালতের মাধ্যমে গ্রেপ্তারকৃতদের রিমান্ডে নেয়া হবে জানান তিনি।
কেআই//
আরও পড়ুন