দেড়শ’ সেলাই নিয়ে এখনও সংজ্ঞাহীন জুনায়েদ, গ্রেফতার নেই
প্রকাশিত : ১৬:৩৬, ১৬ মার্চ ২০২১

জুনায়েদ এখনও সংজ্ঞাহীন। দুই দফায় হামলা হয়েছে তার উপর। শরীরে ৪০টি এবং মাথায় শতাধিক সেলাই দিতে হয়েছে। বর্তমানে সে সোহরাওয়ার্দি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় মামলা হলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
গত ১২ মার্চ বিকেলে জনাকীর্ণ জেলরোডে অভিনব পদ্ধতিতে তার উপর হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। প্রথমে তাকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি চালালে ফাঁকা হয়ে যায় সড়ক। এরপর নির্মমভাবে কুপিয়ে তাকে হত্যার চেষ্টা চালায় দুর্বৃত্তরা। এলোপাথাড়ি কোপে নাড়ী-ভূড়ি বের হয়ে যায় জুনায়েদের। ছোরার একটি আঘাত তার কিডনিতে গিয়ে ঠেকেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
সালিশ সভায় বিরোধ নিষ্পত্তি হওয়ার পর সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য মহসিন খন্দকারের শ্যালক জুনায়েদের উপর হামলা চালায় প্রতিপক্ষের লোকেরা। এ সময় আরও ৪ যুবক আহত হয়। এ ঘটনায় ১৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
সূত্র জানায়, মহসিন খন্দকারের সাথে পূর্ব মেড্ডার মৃত নিজাম উদ্দিনের ছেলে নাসিরের পূর্ব বিরোধ চলছিলো। বিরোধের কারণে সম্প্রতি দুইপক্ষের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষ হয়। ২৩ ফেব্রুয়ারি হাতাহাতির ঘটনার পর নাসিরের লোকজন মোহসিনের বাড়িতে গিয়ে তার শ্যালক জুনায়েদ খন্দকারকে মারধোর ও বাড়ির গেইট ভাংচুর করে। এ নিয়ে জুনায়েদের বোন শাম্মী আক্তার সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
১২ মার্চ আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকারের উপস্থিতিতে সালিশ বৈঠকে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়। বৈঠকে বিশিষ্ট সালিশকারক ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি তাজ মোহাম্মদ ইয়াছিন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান বাবুল, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম ভূইয়া, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু ও সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজাদ হোসেন হাজারী আঙ্গুর উপস্থিত ছিলেন।
সালিশে বিরোধ নিষ্পত্তি করে ভবিষ্যতে উভয়পক্ষকে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরার সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক শেষে মহসিন খন্দকার তার লোকজন নিয়ে জেলরোডে আসা মাত্রই তাদের উপর ওৎ পেতে থাকা প্রতিপক্ষের লোকজন অতর্কিত হামলা করে।
মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, হামলাকারীরা জুনায়েদ খন্দকারকে কুপিয়ে জখম করে। এর আগে কয়েক রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। আহত জুনায়েদ খন্দকারকে প্রথমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়।
এ ঘটনায় মাসুম বিল্লাহ, কাজী মনির, মিকেল হোসেন হিমেল, আকিব মিয়া, অন্তর, শান্ত, নাইম বিল্লাহ, সাব্বির, জাকির, উৎস, চোরা শাকিল, আমিনুল জুয়েল, ইয়াছিন, নাসির, জসীম, বাপ্পী দেবনাথের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা হয়েছে।
এব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রহিম বলেন, আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে।
এএইচ/
আরও পড়ুন