ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

ঝালকাঠিতে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে, আক্রান্ত শতাধিক 

ঝালকাঠি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ২৩:৪৫, ১৬ মার্চ ২০২১

ঝালকাঠিতে হঠাৎ করে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। গত চার দিনে জেলার ৪টি উপজেলায় কয়েক’শ মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। ঋতুর সাথে আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে গত কয়েক দিনে আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

ডায়রিয়ার উপসর্গ নিয়ে এখোন পর্যন্ত যতো মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে তারচেয়ে কয়েকগুণ বেশি মানুষ বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে বলে জানা গেছে। তার উপর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের ষ্টোরে আইভি স্যালাইনের মৌজুদ কম থাকায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীদের চাহিদা অনুযায়ী আইভি স্যালাইন সরবরাহ করতে পারছে না বলে রোগীরা অভিযোগ করেছে।

সদর হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ডায়রিয়া আক্রান্তদের মধ্যে বেশির ভাগই শিশু ও বয়স্ক। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এতোটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে হাসপাতালের কোন সিট খালি না পাওয়ায় রুমের মেঝে ও ওয়ার্ডের বারান্দায় শুয়ে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হচ্ছে। একই ভাবে জেলার নলছিটি, রাজাপুর ও কাঁঠালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে খোঁজ নিয়েও একই ধরনের তথ্য পাওয়া গেছে।

সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের রেজিষ্টার থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, গত ১ মার্চ থেকে ১২ মার্চ পর্যন্ত ডায়ারিয়া আক্রান্ত হয়ে প্রায় ২০০ জন রোগী ও গত ৪ দিনের প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ জন ডায়রিয়া রোগী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের ষ্টোরে আইভি স্যালাইনের মৌজুদ কম থাকায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীদের চাহিদা অনুযায়ী স্যালাইন সরবরাহ করতে পারছে না। এ অবস্থায় ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীরা বাধ্য হয়ে বাজারের দোকান থেকে স্যালাইন ও ওষুধ কিনছে।

ডায়রিয়া ওয়ার্ডের সূত্রটি আরো জানায়, ঝালকাঠি হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে রোগীর শয্যা সংখ্যা মাত্র ১৩টি হলেও গত চার দিনে ভর্তি হয়েছে ২৩৬ জন। অপরদিকে জেলা শহরের বাইরে তিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ব্যাপক হারে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। হঠাৎ করে হাসপাতালগুলোতে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় চিকিৎসক-সেবিকাসহ সংশ্লিষ্টরা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। এবিষয়ে খোজ খবর নিয়ে আজ মঙ্গলবার বেলা ১২ টা পর্যন্ত এ তথ্য পাওয়া গেছে।

এ ব্যাপারে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক আবুয়াল হাসান বলেন, ‘ঋতু পরিবর্তন হচ্ছে। এ সময় বয়স্ক ও শিশুরা বেশি ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে থাকে। গত চার দিনে জেলায় অন্তত দুই শতাধিকের বেশি ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রুগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছে। জনবল কম থাকলেও সাধ্যমতো ডায়রিয়ার রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে চিকিৎসা সংশ্লিষ্টরা বলে জানান।
কেআই//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি