রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডে নিহত বেড়ে ১১
প্রকাশিত : ১৮:৩৪, ২৩ মার্চ ২০২১ | আপডেট: ১৮:৪২, ২৩ মার্চ ২০২১
কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালীতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ আগুনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১ জনে দাঁড়িয়েছে। এ সময় আগুনে প্রায় ৪০ হাজার বসতবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। প্রায় ১৫৫ জন আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) বিকাল ৫ টারদিকে ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের কার্যালয়ের সভাক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মহসিন।
সচিব মোহাম্মদ মহসিন বলেন, ঘটনায় শুধু ঘরবাড়ি নয় পুড়েছে আইওম ও তুর্কি সরকারের দুইটি বড় হসপিটালও পুড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সার্বিক সহযোগিতা করা হবে। ঘটনা তদন্তে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বালুখালীতে অবস্থিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দশ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গাদের বসতঘর পুড়ে গেছে। অগ্নিকাণ্ডের ফলে দৌড়াদৌড়ি ও হুড়োহুড়িতে পড়ে হাজারো রোহিঙ্গা আহত হয়েছে। আগুনে সম্পুর্ণ বাড়ি ঘর পুড়ে যাওয়ায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গা গৃহহারা হয়েছে। তবে আগুনে দগ্ধ হয়ে দুই শিশু সহ এ পর্যন্ত ৭ জন রোহিঙ্গা মারা গেছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন।
অগ্নকান্ডের ঘটনায় দুর্যোগ ও ত্রান মন্ত্রনালয় থেকে কক্সবাজার শরনার্থী ত্রান ও প্রত্যাবাসন কমিশনারকে প্রধান করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হরেছে বলে জানান চট্রগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন। অগ্নকান্ড পুড়ে যাওয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প অজ সকালে পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন আজ সকালে জানিয়েছেন, ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডে এ পর্যন্ত দুই শিশু সহ ৭ জন রোহিঙ্গা অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে তারা নিশ্চিত করা হলের পরে বিকালে এক প্রেসব্রিফিংয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মহসিন আরও ৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধারের কথা নিশ্চিত করেন। এনিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ১১ জনে দাড়িয়েছে।
এদিকে আইএসসিজি এর কর্মকর্তা সৈয়দ মোহাম্মদ তাফহিম জানিয়েছে, কুতুপালং বালুখালী ক্যাম্প ভিত্তিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য তৈরি একটি শিটের হিসাব অনুসারে বালুখালির ক্যাম্প ৮-ইতে ঘরের সংখ্যা ৬ হাজার ২৫০ আর লোকসংখ্যা ২৯ হাজার ৪৭২ জন, ৮-ডব্লিউ ক্যাম্পে বাড়ি ৬ হাজার ৬১৩টি আর লোকসংখ্যা ৩০ হাজার ৭৪৩ জন, ক্যাম্প ৯-এ বাড়ি ৭ হাজার ২০০ টি আর লোকসংখ্যা ৩২ হাজার ৯৬৩ জন এবং ক্যাম্প ১০-এ বাড়ি ৬ হাজার ৩২০টি আর লোকসংখ্যা ২৯ হাজার ৭০৯ জন। তিনি উল্লেখ করেন অগ্নিকাণ্ডে এই চারটি ক্যাম্পের অধিকাংশ ঘর ক্ষতিগ্রস্হ হয়।
এদিকে দীর্ঘ ৭ ঘন্টা অগ্নিকান্ডের ঘটনায় হাজার হাজার রোহিঙ্গা আশ্রয়স্থল হারিয়ে এক কাপড়ে আশ্রয় নিয়েছে কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কে। আশ্রয়হারা লোকজন হারিয়েছে তাদের ক্যাম্পের ঝুপড়ি ঘরের সব মালামাল। আশেপাশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্হানীয় গ্রামবাসীর বসতভিটাতে আশ্রয় নিয়েছে হাজার হাজার রোহিঙ্গা।
আরকে//
আরও পড়ুন