বাগেরহাটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ৩৯ চেয়ারম্যান প্রার্থী
প্রকাশিত : ১১:৩৩, ২৫ মার্চ ২০২১ | আপডেট: ১১:৩৭, ২৬ মার্চ ২০২১
প্রথম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বাগেরহাটের ৭০টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩৯টিতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী রয়েছেন। ফলে এই ৩৯ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বুধবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন বাগেরহাট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফারাজী বেনজীর আহম্মেদ।
আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জেলা নির্বাচন অফিসের গণবিজ্ঞপ্তিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত চেয়ারম্যানদের তালিকা প্রকাশ করা হবে।
বাগেরহাট জেলার ৯টি উপজেলার ৭৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ৭০টিতে আগামী ১১ এপ্রিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার শেষ দিনে একক প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের ৩৯ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
এর মধ্যে মোল্লাহাট উপজেলার ৬ ইউনিয়নের মধ্যে ৬টিতেই চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। নির্বাচিতরা হলেন- উদয়পুরে এস কে হায়দার মামুন, চুনখোলায় মনোরঞ্জন পাল, কুলিয়ায় মো. মিজানুর রহমান, গাওলায় শেখ রেজাউল কবীর, কোদালীয়ায় শেখ রফিকুল ইসলাম ও আটজুড়িতে মো. মনিরুজ্জামান মিয়া।
মোংলা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নেও ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচিতরা হলেন- সোনাইলতলায় নাসরিন আক্তার নাজিনা, বুড়িরডাঙ্গায় উদয় শংকর বিশ্বাস, চিলায় গাজী আকবর হোসেন, চাঁদপাই মোল্লা মো. তরিকুল ইসলাম, সুন্দরবন ইউনিয়নে মো. একরাম ইজারাদার এবং মিঠাখালীতে উৎপল কুমার মন্ডল।
বাগেরহাট সদরের ৭টির মধ্যে ৬টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। নির্বাচিতরা হলেন- বেমরতায় মনোয়ার হোসেন টগর, কাড়াপাড়ায় শেখ মহিতুর রহমান পল্টন, বিষ্ণুপুরে এমডি মাসুদ রানা, বারুইপাড়ায় আলহাজ হায়দার আলী মোড়ল, খানপুরে ফকির ফহম উদ্দিন ও ডেমায় মো. মনি মল্লিক।
শরণখোলা উপজেলার ৪টির মধ্যে ৩টি ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তারা হলেন- সাউথখালীতে মো. মোজাম্মেল হেসেন, রায়েন্দায় আজমল হোসেন মুক্তা ও খোন্তাকাটায় জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন।
রামাপালেও ১০টির মধ্যে ৫টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে মল্লিকেরবেড়ে মো. সাবির আহমেদ তালুকদার, হুড়কায় তপন কুমার গোলদার, ভোজপাতিয়ায় তরফদার মাহফুজুল হক টুকু, রামপাল সদরে মো. নাসির উদ্দিন হাওলাদার ও বাশতলীতে মো. মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল।
চিতলমারীতে ৭টির মধ্যে ৪ টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। নির্বাচিতরা হলেন- হিজলায় কাজী আবু শাহিন, শিবপুরে ওয়ালিউজ্জামান জুয়েল, চর বানিয়ারীতে অর্চণা রানী ঝর্ণা বড়াল ও সন্তোষপুরে বিউটি আক্তার।
ফকিরহাটে ৭ ইউনিয়নের মধ্যে ৪টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ফকিরহাট সদর শিরিনা আক্তার কিসলু, বেতাগায় ইউনুচ আলী, পিলজংয়ে মোড়ল জাহিদুল ইসলাম ও নলদা-মৌভোগে সরদার আমিনুর রশিদ।
কচুয়ার ৭টির মধ্যে ৪টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বাধালে নকীব ফয়সাল অহিদ, গোপালপুরে এস এম আবু বক্কর সিদ্দিক, গজালিয়ায় এস এম নাসির উদ্দিন ও রাড়ীপাড়ায় নাজমা আক্তার।
মোরেলগঞ্জে ১৬টির মধ্যে নিশানবাড়িয়ায় ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাইফুল ইসলাম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
বাগেরহাট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফারাজী বেনজীর আহম্মেদ জানান, ১১ এপ্রিল প্রথম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বাগেরহাটের ৭০টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ৩৯টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী রয়েছেন। এছাড়াও বেশকিছু ওয়ার্ডে একক প্রার্থী আছেন। আজ বিকেলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত প্রার্থীদের তালিকা গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রকাশ করা হবে।
মোরেলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সভাপতি এইচ এম মাহামুদ আলী বলেন, ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে ৩০ বছর ধরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নীতি-আদর্শকে বুকে ধারণ করে রাজনীতি করছি। জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের সুফল ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়ার জন্য নৌকার প্রার্থী সাথে থেকে কাজ করবো।
আসন্ন নির্বাচনে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে নৌকার মনোনয়ন পাবার কথা থাকলেও যে কারণেই হোক তিনি পাননি। তারপরও শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত মনে প্রাণে তিনি মেনে নিয়েছেন।
এএইচ/এসএ/এনএস/
আরও পড়ুন