স্কুলছাত্রকে গাছে বেঁধে নির্যাতনকারী গ্রেপ্তার
প্রকাশিত : ১৫:৪৮, ৩ এপ্রিল ২০২১
রাজশাহীর চারঘাটে পুকুরে মাছ চুরির অপবাদ দিয়ে কিশোরকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার মেরামাতপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশের একটি গাছে বেঁধে ওই কিশোরকে নির্যাতন করা হয়। ওই রাতেই জহিরুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
শনিবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে এ খবর নিশ্চিত করেন চারঘাট থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম। গ্রেফতারকৃতকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
নির্যাতনের শিকার ওই কিশোর উপজেলার উত্তর মেরামাতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। তার বাবা চারঘাট পৌরসভার মেরামাতপুর মহল্লার বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানান, দুপুরে ওই কিশোর মেরামাতপুর গ্রামের জহিরুল ইসলামের পুকুরে গোসল করতে যায়। ওই পুকুরে আরও কয়েকজন কিশোর গোসল করছিল। এ সময় পুকুর পাড়ে জহিরুল আসলে অন্যরা পালিয়ে যায়।
ওই কিশোরকে ধরে পুকুরপাড়ের একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে মারধর করে জহিরুল। ঘণ্টা খানেক বেঁধে রাখার পর ঘটনাটি দেখে স্থানীয় লোকজন ছেলেটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে জহিরুল ইসলাম ওই কিশোরকে গাছে বেঁধে রাখার একটি ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেন।
জহিরুল ইসলাম বলেন, মাঝে মাঝেই আমার পুকুর থেকে মাছ চুরি হয়ে যাচ্ছে। দুপুরে ওই ছেলেসহ আরও কয়েকজন মাছ চুরি করছিল। তখন ছেলেটিকে হাতেনাতে ধরেছি। আর যেন বড় অপরাধ না করে সে জন্য তাকে ধরে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছিল।
কিশোরের ছবি ইন্টারনেটে ছাড়ার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবাইকে সচেতন করতে ছবি ফেসবুকে শেয়ার করা হয়েছে।
এদিকে ওই কিশোরের বাবা বলেন, ‘চুরির অপবাদ দিয়ে তার ছেলেকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করেছেন জহিরুল। অন্য কেউ তার পুকুরে মাছ চুরি করতে পারে। অথচ তার ছেলে পুকুরে গোসল করতে গিয়েছিল। সেখান থেকে ধরে তাকে নির্যাতন করা হয়েছে। সে এখন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা নিচ্ছেন।’
চারঘাট থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, রাতে ওই কিশোরের বাবা থানায় অভিযোগ দায়ের করে। এরপর পুলিশ রাতেই নিজ বাড়ি থেকে জহিরুলকে গ্রেপ্তার করে। মামলায় ওই কিশোরকে নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এছাড়া নির্যাতনের ছবি ইন্টারনেটে প্রকাশ করায় একই মামলায় জহিরুলের বিরুদ্ধে তথ্য-প্রযুক্তি আইনের ধারা যুক্ত করা হয়েছে।
এএইচ/ এসএ/
আরও পড়ুন