চিরিরবন্দরে লৌহখনির সম্ভাব্যতার যাচাই কার্যক্রম শুরু (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৫:৫২, ৭ এপ্রিল ২০২১
দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে লৌহজ খনিজ পদার্থের অবস্থান নিশ্চিতের পর খনির সম্ভাব্যতা যাচাই শুরু করেছে বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতর। আগামি ৪ মাস ধরে চলবে এ কার্যক্রম। অবস্থানের বিষয়টি নিশ্চিত হলে এ জেলায় খনির সংখ্যা দাঁড়াবে ছয়টিতে।
খনিজ সম্পদে ভরপুর জেলা হিসেবে এরই মধ্যে পরিচিতি লাভ করেছে দিনাজপুর। এই জেলায় রয়েছে দেশের একমাত্র উৎপাদনশীল কয়লার খনি বড়পুকুরিয়া। এছাড়া ফুলবাড়ী ও দিঘিপাড়া কয়লাখনির পাশাপাশি রয়েছে একমাত্র ভূগর্ভস্থ পাথরখনি মধ্যপাড়া। সম্প্রতি হাকিমপুরে সন্ধান মিলেছে লোহার খনির। এই অবস্থার মধ্যেই জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার কেশবপুরে লৌহখনির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর।
এলাকাবাসী জানান, বড়পুকুরিয়ার কয়লাখনির উত্তোলন করতে গিয়ে এলাকার বহু জমি নদীতে পরিণত হয়েছে এবং অনেক মানুষ ঘর-বাড়ি ছাড়া হয়েছে। ওই সমস্ত জিনিস যাতে আমাদের এই এলাকায় না হয়।
কার্যক্রম শুরুর সাথে সাথেই এলাকাবাসীর মধ্যে দেখা দিয়েছে উচ্ছ্বাস। তবে খনি পাওয়া গেলে ক্ষতি হবে বাড়িঘর ও আবাদি জমির। তাই উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি কর্মসংস্থানের প্রত্যাশা তাদের।
স্থানীয়রা জানান, খনি যখন উত্তোলন হবে তখন ক্ষতিপূরণের ন্যায্যমূল্য আমরা যেন পাই। খনিটা পেলে দেশের অনেক কাজ হবে, বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান হবে।
এখানে লোহার সাথে তামাসহ অন্যান্য খনিজ সম্পদ পাওয়ারও আশা করছেন জিএসবি কর্মকর্তরা।
জিএসবি মহাপরিচালক ড. মোঃ শের আলী বলেন, আসলে লোহার খনি থাকতে পারে, এছাড়া আরও খনিজ সম্পদ থাকতে পারে। ভূ-অভ্যন্তরে আর কি কি জিনিস আছে এবং খনিজ সম্পদের ব্যাপ্তি কতখানি সে বিষয়ে যাচাই করতে হবে।
আগামী ৪ মাস এ এলাকায় জিডিএইচ-এর কূপ খনন কাজ চলবে।
দেখুন ভিডিও :
এএইচ/এসএ/
আরও পড়ুন