বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে দক্ষিণাঞ্চলমুখী যাত্রীদের ভিড়
প্রকাশিত : ১৩:২৯, ১৩ এপ্রিল ২০২১ | আপডেট: ১৪:৪৩, ১৩ এপ্রিল ২০২১
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে আগামীকাল ১৪ এপ্রিল থেকে সরকারের ‘সর্বাত্মক লকডাউনের’ ঘোষণায় মাদারীপুরের বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে দক্ষিণাঞ্চলমুখী যাত্রীদের ভিড় বেড়েই চলছে। সকাল থেকেই প্রতিটি ফেরিতে যানবাহনের পাশাপাশি প্রচুর যাত্রীদের পদ্মা পাড় হতে দেখা গেছে। এদিকে ফেরিতে ছোট যানবাহন ও যাত্রী চাপ বেশি থাকায় বাংলাবাজার ফেরিঘাটে প্রায় পাঁচশতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক আটকা পড়েছে।
এছাড়া জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্পিড বোট ও ট্রলারে করে পদ্মা পাড় হচ্ছেন যাত্রীরা। ঘাট এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছেন না কেউই। পুলিশ, প্রশাসন ও ঘাট কর্তৃপক্ষ অনেকটাই নির্বিকার।
লকডাউনে যাত্রীবাহী সকল যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকার কথা থাকলেও সকাল থেকেই চলছে যাত্রীবাহী বাস। তিন থেকে চারগুণ ভাড়া বেশি নিয়ে যাত্রী বোঝাই করে বাস চলাচল করছে। এছাড়া ছোট বড় বিভিন্ন যানবাহনে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে দক্ষিণাঞ্চলমুখী যাত্রীদের ঢল নেমেছে। উদ্দেশ্য একটাই, সরকারের ঘোষিত কঠোর লকডাউনের আগেই বাড়িতে ফেরা। তাই সকাল থেকেই এই ঘাটে যাত্রীদের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে ঘাট কর্তৃপক্ষ।
যানবাহনগুলো মানছে না নুন্যতম স্বাস্থবিধি। লঞ্চ বন্ধ থাকলেও কোনো প্রকার স্বাস্থ্যবিধি ছাড়াই ফেরি, স্পিডবোট ও ট্রলারে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। বাসের পাশাপাশি যাত্রীরা মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল, ইজিবাইকসহ বিভিন্ন যানবাহনে বাড়ি ফিরছে। এই সুযোগে তিন চারগুণ বেশি ভাড়া নিচ্ছেন যানবাহন মালিকরা।
স্বাস্থ্যবিধি না মানা, যানবাহনগুলোতে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করা ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে প্রশাসনের নেই কোন তৎপরতা। ফলে বেড়েই চলেছে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি।
এএইচ/এসএ/
আরও পড়ুন