ঢাকা, বুধবার   ০৬ নভেম্বর ২০২৪

জীবিত থেকেও ওরা মৃত! (ভিডিও)

যশোর প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১০:৫৯, ১৬ এপ্রিল ২০২১ | আপডেট: ১১:০০, ১৬ এপ্রিল ২০২১

গৃহিণী মর্জিনা বেগম, স্কুলশিক্ষক মো: বজলুর রহমান (মাঝে) ও মুদি দোকানি হাফিজুর।

গৃহিণী মর্জিনা বেগম, স্কুলশিক্ষক মো: বজলুর রহমান (মাঝে) ও মুদি দোকানি হাফিজুর।

যশোরে নির্বাচন অফিসের ভুলে জীবিত ব্যক্তিকে মৃত দেখানো হচ্ছে অফিসের সার্ভারে। ফলে ভোগান্তিতে পড়ছেন বিভিন্ন নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিতে গিয়ে। এখন পুনঃরায় জীবিত হওয়ার জন্য তারা ছুটে বেড়াচ্ছেন নির্বাচন অফিসে। তবে জেলা নির্বাচন অফিস বলছে, পরিবারের সদস্য বা জনপ্রতিনিধিদের দেয়া ভুল তথ্যের কারণে এটা হতে পারে। বিষয়টি সমাধানে তারা কাজ করছেন।

যশোরের চৌগাছার মুক্তদহ গ্রামের মুদি দোকানদার হাফিজুর রহমান। ব্যবসার প্রয়োজনে ব্যাংক হিসেব খুলতে গিয়ে পড়েন বিপাকে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তার জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য যাচাই করতে গেলে নির্বাচন অফিসে গিয়ে জানতে পারেন ২০১৯ সালে ‘মারা’ গেছেন তিনি।

মুদি দোকানি হাফিজুর বলেন, আমি ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কথা শুনে নির্বাচন অফিসে গিয়ে আমার আইডি কার্ডের সমস্যার কথা বললাম। কিন্তু আইডি দেখে তারা বলছে যে, ২০১৯ সালে আমাকে মৃত দেখানো হয়েছে কাগজ-কলমে।

হাফিজুরের মতো জীবিত থেকেও ‘মৃত জীবনযাপন’ করছেন ঝিকরগাছার স্কুলশিক্ষক মো: বজলুর রহমান, আব্দুল জলিল ও গৃহিণী মর্জিনা বেগম। 

এ বিষয়ে জেলার জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন কবির বলছেন, পরিবারের সদস্য বা জনপ্রতিনিধিদের দেয়া তথ্যে ভুল থাকায় এমন হতে পারে। তিনি বলেন, কিছু কিছু তথ্য আসে যেগুলো পরিবারের সদস্য বা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দ্বারা ভুল সংঘঠিত হয়েছে। এগুলোর তদন্ত চলছে। অচিরেই এর সমাধান হয়ে যাবে।

জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এখন পর্যন্ত চারজন জীবিত ব্যক্তিকে মৃত দেখানো ছাড়াও বেশ কয়েকজনকে দ্বৈত ভোটারও দেখানো হয়।

ভিডিওতে দেখুন- 

এনএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি