করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হেনেছে খুলনাতেও (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৩:১৮, ২২ এপ্রিল ২০২১
সারাদেশের মতো খুলনাতেও করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হেনেছে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বেড়েছে রোগীর চাপ। অথচ করোনা ইউনিটে এখনও লিকুইড অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপন করা যায়নি। আছে মাত্র ১০ বেডের আইসিইউ। এ অবস্থায় করোনা মোকাবেলা নিয়ে রোগী ও স্বজনদের সাথে দুশ্চিন্তায় চিকিৎসকরাও।
দ্বিতীয় তরঙ্গে খুলনায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে সংক্রমণের সংখ্যা। একমাসে সংক্রমিত দেড় হাজারের বেশি মানুষ। এই সময়ে হাসপাতালেই মৃত্যু হয়েছে অর্ধশতাধিক।
একসময় রোগী-শূন্য করোনা ইউনিটে প্রতিনিয়ত বাড়ছে ভীড়। অথচ রোগীদের জন্য এখনও হাসপাতালের নির্ভরতা বোতলজাত অক্সিজেন।
রোগীর স্বজনরা জানান, আইসিইউ’র সংখ্যা বাড়াতে হবে এবং করোনা রোগীদের জন্য বেড বাড়াতে হবে। দিনে ৫০-৬০ জন বাড়ছে, এরপরে তো আরও অনেক বেড়ে যাবে। খুলনায় যে পরিমাণ করোনায় সংক্রমিত হচ্ছে, তাতে অক্সিজেন প্ল্যান্ট অবশ্যই দরকার।
৬ মাস আগে খুলনার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে লিকুইড অক্সিজেন ট্যাংক ও প্লান্ট স্থাপনের সিদ্ধান্ত হলেও তা এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। চিকিৎসকরা বলছেন, নিরবিচ্ছিন্ন প্লান্ট চালু হলে আইসিইউ’র সংখ্যা বাড়ানো যাবে।
খুলনা করোনা প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনা টেকনিক্যাল কমিটির সার্বিক সমন্বয়ক ডা. মেহেদী নেওয়াজ বলেন, আমাদের একটা অক্সিজেন প্ল্যান্ট বহুদিন ধরে খুলনা মেডিকেল কলেজের চত্বরে পড়ে আছে। এটাকে যতক্ষণে বসানো না যাবে ততোক্ষণে নিরবিচ্ছিন্ন অক্সিজেন সাপ্লাই পাওয়া যাবে না।
লিকুইড অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বারবার তাগাদা দেয়ার কথা জানান হাসপাতালের পরিচালক।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এ টি এম মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, ডিজি স্যারকে বলা হয়েছে, যেভাবে পারেন ১৫ দিনের মধ্যে এটি চালু করে দিতে হবে। তখন তারা নড়েচড়ে বসেছে।
এই হাসপাতালে অক্সিজেন ট্যাংক ও প্লান্টের কক্ষ নির্মাণে ৯৭ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।
দেখুন ভিডিও :
এএইচ/এসএ/
আরও পড়ুন