ইউএনও’র তাড়া খেয়ে নিহত কাভার্ডভ্যান হেলপার
প্রকাশিত : ০৮:৩৩, ২৪ এপ্রিল ২০২১ | আপডেট: ০৯:০৬, ২৪ এপ্রিল ২০২১
রাজশাহীর পুঠিয়ায় জনসমাগম ছত্রভঙ্গ করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাড়া দিলে এ সময় দৌড়ে রাস্তা পার হতে গিয়ে প্রাইভেটকারের নিচে চাপা পড়ে কাভার্ডভ্যানের হেলপার নিহত হয়েছে। প্রাইভেটকারের মালিক বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিজান দুর্ঘটনার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার বানেশ্বর বাজারের তেলপাম্পের সামনে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত কাভার্ডভ্যানের হেলপারের আবদুল লতিফ (৫৫) নোয়াখালি জেলার সেনভাগ থানার ইদলপুর গ্রামের আবদুর রহিমের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাত সাড়ে ৮টার দিকে বানেশ্বর বাজারে রাস্তার পাশে চায়ের দোকানে জটলা বাধে। বাজারের এই জনসমাগম ছত্রভঙ্গ করে লকডাউন বাস্তবায়নে পুলিশ নিয়ে অভিযান চালান পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। নির্বাহী কর্মকর্তা লাঠি হাতে তাড়া দিলে লোকজন আতঙ্কে দৌড়ে পালায়। এ সময় দৌড়ে রাস্তার পার হতে গিয়ে প্রাইভেট কারের ধাক্কায় রাস্তার উপর ছিটকে পড়েন আব্দুল লতিফ।
পরে তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পবা হাইওয়ে শিবপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ লুৎফর রহমান জানান, নিহত লতিফ কাভার্ডভ্যানের হেলপার। তারা কাভার্ডভ্যান নিয়ে নোয়াখালী ফিরছিল। বানেশ্বরে একটি চায়ের দোকানে চা খেতে থেমেছিলো। রাস্তা পারাপারের সময় দুর্ঘটনার স্বীকার হয়। প্রাইভেট কারটি জব্দ করা হয়েছে।
তানোর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও রাজশাহী জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান মিজান বলেন, আমি পুঠিয়ার দিকে যাচ্ছিলাম। বানেশ্বর বাজারে আসলে একজন দৌড়ে এসে গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে রাস্তার উপর ছিটকে পড়েন। পরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে শুনেছি। এখানে গাড়ির ড্রাইভারের কোন দোষ নেই বলে দাবি করেন তিনি।
এএইচ/এসএ/
আরও পড়ুন