ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

চট্টগ্রামে করোনায় একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু ১১

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:১৬, ২৫ এপ্রিল ২০২১

বন্দর নগরী চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সর্বোচ্চ ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে নতুন করে ১৭১ জন শনাক্ত হয়েছেন। সংক্রমণ হার ১২ দশমিক ৮৬ শতাংশ।

চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, নগরীর ছয়টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৩৩০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন ১৭১ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ১৪১ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬ জন করে চন্দনাইশ ও রাউজানে, সীতাকুণ্ডে ৫, মিরসরাই ৪, সাতকানিয়ায় ৩, ফটিকছড়িতে ২ এবং হাটহাজারী, আনোয়ারা, পটিয়া ও বোয়ালখালীতে ১ জন করে।

এ নিয়ে চট্টগ্রাম জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্তের সংখ্যা ৪৮ হাজার ৮৮৭ জন। এর মধ্যে শহরের ৩৯ হাজার ২৪১ জন ও গ্রামের ৯ হাজার ৬৪৬ জন। 

করোনায় জেলায় এ যাবতকালের সর্বোচ্চ ১১ রোগীর মৃত্যু হয় গত ২৪ ঘণ্টায়। এদের মধ্যে ৮ জন শহরের ও ৩ জন গ্রামের বাসিন্দা। জেলায় মৃতের সংখ্যা এখন ৪৯৭ জন। এর মধ্যে শহরের ৩৭০ জন ও গ্রামের ১২৭ জন। একই সময়ে সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন ১০৩ জন। ফলে মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ৩৫ হাজার ৮৯৭ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৪ হাজার ৯৫৭ জন ও ঘরে থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৩০ হাজার ৯৪০ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ৩০ জন ও ছাড়পত্র নেন ২৯ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ৪২৭ জন।

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে সবচেয়ে বেশি ৪৬৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এখানে গ্রামের ৮ জনসহ ৩৫ জন করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হন। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৩১৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের ১০ জনসহ ৪৩ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। নগরীর একমাত্র বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ৬২টি নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের ২টিসহ ৩২টির রেজাল্ট পজিটিভ আসে।

বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ৩১২টি নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের ৮টিসহ ৩৫টি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১৫৭ নমুনার মধ্যে গ্রামের ২টিসহ ২৪টি এবং নতুন যুক্ত মেডিকেল সেন্টারে ১৪টি নমুনায় শহরের ২টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।

এদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) এবং মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবেও চট্টগ্রামের কোনো নমুনা পাঠানো হয়নি।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি