খোরশেদ আমাকে বিয়ে করেছে, হাজার ভাগ সত্য : ভিডিও বার্তায় শিউলি
প্রকাশিত : ০৮:৫৬, ২৭ এপ্রিল ২০২১
নারায়ণগঞ্জের কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ আমাকে বিয়ে করেছে এটা এক হাজার ভাগ সত্য। দু’একদিনের মধ্যে দেশে ফিরে সব প্রমাণ দেবেন বলে জানিয়েছেন সায়েদা শিউলি। গত শনিবার খন্দকার খোরশেদ ফেসবুকে লাইভে এসে অভিযোগ তুলেছিলেন যে, তাকে তুলে নিয়ে বিয়ে করার হুমকি দিয়েছেন এক নারী। সেই নারী সায়েদা শিউলি দাবি করছেন যে, তিনি খোরশেদের দ্বিতীয় স্ত্রী।
আলোচিত সেই নারী সায়েদা শিউলি রোববার ফেসবুক লাইভে এসে আবেগঘন কণ্ঠে জানালেন, মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ তাকে বিয়ে করেছেন। এ সংক্রান্ত কাগজপত্র তার কাছে আছে। বর্তমানে তিনি ব্যবসায়িক কাজে দেশের বাইরে আছেন। দেশে এসেই তিনি সাংবাদিকদের সামনে এসব কাগজপত্র নিয়ে হাজির হবেন।
তিনি হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে দাবি করেন সায়েদা শিউলি। তার তিন সন্তান যাতে এ নিয়ে সামাজিকভাবে নাজেহাল না হয়, এ ব্যাপারে সবার সদয় দৃষ্টি কামনা করেন তিনি।
সায়েদা শিউলির বক্তব্য, আমি একজন নারী, আর তিনি প্রভাবশালী এক কাউন্সিলর। সারাদেশে তাকে করোনা হিরো নামে চেনে। তার বাড়িতে কাজি নিয়ে আমি বিয়ে করতে গেছি, এটা কীভাবে সম্ভব।
এর আগে ফেসবুক লাইভে কাউন্সিলর খোরশেদ দাবি করেন, ওই নারী তাকে বিয়ে করার জন্য গাড়িতে করে কাজী নিয়ে তার বাসায় এসেছিলেন। তবে এসব কোনোভাবেই সম্ভব নয় বলে তাকে বোঝানো হয়। এরপরও তিনি উচ্চপদস্থ বিভিন্ন ব্যক্তির নাম ব্যবহার করে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। এমনকি এও হুমকি দিয়েছেন যে, পাসপোর্টে খোরশেদের নাম স্বামী হিসেবে ব্যবহার করবেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে মেসেঞ্জারের স্ক্রিনশট মানুষকে দেখিয়ে বিভিন্ন রকম দাবি করতে থাকেন তিনি।
ওই নারীর পরিচয় দিতে গিয়ে খোরশেদ বলেন, তার নাম সাইদা আক্তার। এরই মধ্যে তার তিনটি বিয়ে হয়েছে, তিনি ব্যবসায়ী। তার দুই ছেলেমেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। এক মেয়ে দশম শ্রেণিতে পড়ে। বিভিন্ন উচ্চপদস্থ লোকের সঙ্গে তার পরিচয় আছে। তিনি নিজেকে বিসিএস ক্যাডার পরিচয় দিয়ে মানুষকে জিম্মি করেন। মানুষের সঙ্গে ভালো ভালো কথা বলে বিভিন্ন স্ক্রিনশটকে কেন্দ্র করে তাদের ব্যবহার করার চেষ্টা করেন।
গত শনিবার (২৪ এপ্রিল) রাতে সস্ত্রীক নিজের ফেসবুকে লাইভে এসে এমনটিই দাবি করেছেন খোরশেদ ও তার স্ত্রী। এ সময় আবেগাপ্লুত হয়ে খোরশেদ কয়েক দফা ডুকরে কেঁদে ওঠেন এবং প্রশাসন ও রাষ্ট্রের কাছে পরিবারের নিরাপত্তা দাবি করেছেন।
প্রসঙ্গত, কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ করোনায় মৃত ব্যক্তিদের দাফনের কারণে নারায়ণগঞ্জসহ সারাদেশে আলোচিত হয়েছিলেন।
এএইচ/ এসএ/
আরও পড়ুন