ঢাকা, বুধবার   ০৬ নভেম্বর ২০২৪

সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটে পানির সংকট (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:০৬, ২৮ এপ্রিল ২০২১

তীব্র পানির সংকট চলছে উপকূলীয় সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলায়। বৃষ্টি না হওয়া, পানির স্তর নিচে নেমে পুকুর-জলাশয় শুকিয়ে যাওয়া এবং নতুন করে গভীর-অগভীর নলকূপ না বসানোয় এই সংকট তীব্র হয়েছে। বিশুদ্ধ খাবার পানির অভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকেই। 

উপকূলীয় এলাকায় এমনিতেই বিশুদ্ধ পানির সংকট; তার উপর আম্পান-সিডরে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে ধ্বংস হওয়া খাবার পানির আধার মেরামত না করায় এ সংকট তীব্র হয়েছে। এছাড়া তাপদাহ ও বৃষ্টির অভাবে শুকিয়ে গেছে পুকুর-ডোবা।

সাতক্ষীরা জেলায় সবচেয়ে বেশি পানি সংকট উপকূলীয় শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলায়। খাবার পানির দাবিতে রাস্তায় বিক্ষোভ করেছে এখানকার মানুষ।

স্থানীয়রা জানান, পুকুরগুলো নষ্ট হয়ে গেছে এবং পিএসএফগুলোও নষ্ট। খাবার পানি পেতে খুবই কষ্ট। প্রতিনিয়ত ছেলেমেয়েরা অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে।

সাময়িক ব্যবস্থা হিসেবে প্রতিদিন দশ হাজার লিটার খাবার পানি সরবরাহের কথা জানিয়েছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ।

সাতক্ষীরা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আরশাদ আলী বলেন, আরও যদি লাগে আপনাদেরকে আরও দিব। পানিও আমরা বোতলে ভরে দিব।

সিডর ও আইলা বিধ্বস্ত বাগেরহাটের শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ, রামপাল, মোংলা ও কচুয়ায় এখনও গভীর-অগভীর নলকূপ স্থাপিত হয়নি। পুকুর বা জলাশয়ের পানির উপর নির্ভরশীল এখানকার মানুষ। কিন্তু বৃষ্টির অভাবে সেগুলো শুকিয়ে যাওয়ায় বিপাকে তারা।

এদিকে, দূষিত পানি ব্যবহারের কারণে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সংকট সমাধানে লবণাক্ত এলাকায় পর্যাপ্ত পুকুর খননের কথা জানায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ।

বাগেরহাট সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির বলেন, আমরা সকলকে আহ্বান জানাবো, যারা পানি খাবেন পানিটা ফুটিয়ে খাবেন।

জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী এফ এম ইসমাইল হোসেন বলেন, যেসমস্ত নিরাপদ পানির উৎস আছে, সে উৎসগুলো পানির কারণে সচল রাখা যাচ্ছে না। 

জনদুর্ভোগ বিবেচনায় দ্রুত পানি সংকটের সমাধান চান সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটবাসী।
দেখুন ভিডিও :


এএইচ/ এসএ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি