মে দিবসে বেনাপোলে আমদানি-রফতানি বন্ধ
প্রকাশিত : ১৪:২৪, ১ মে ২০২১

মহান মে দিবস উপলক্ষে শনিবার (১ মে) সকাল থেকে দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল-পেট্রাপোল দিয়ে দু’দেশের মধ্যে সব ধরনের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও দূতাবাস থেকে ছাড়পত্র নিয়ে আটকে পড়া পাসপোর্টধারী যাত্রীরা নিজ নিজ দেশে ফিরতে পারবে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মে দিবসে সরকারি ছুটি থাকায় বেনাপোল-পেট্রোপোল বন্দরের মধ্যে আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে। এই বন্ধের মধ্যে বন্দরে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে জন্য বন্দরের নিরাপত্তা জোরদার করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যথারীতি রোববার (২ মে) সকাল থেকে পুনরায় বন্দরের কার্যক্রম শুরু হবে।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, মে দিবসে আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকলেও শর্ত মেনে দু’দেশের মধ্যে নিষেধাজ্ঞার আগে যারা গমন করেছিলেন তারা ফিরছেন। তবে ২৬ এপ্রিল থেকে এ পথে নতুন করে পাসপোর্টধারী যাত্রীর যাতায়াত দুই সপ্তাহের জন্য বন্ধ রয়েছে।
জানা গেছে, প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রায় ৫শ’ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি করা হয়ে থাকে। ভারতে রফতানি হয় ১৫০ ট্রাক পণ্য। আমদানি বাণিজ্য থেকে প্রতিদিন সরকারের রাজস্ব আসে প্রায় ২০ থেকে ৪০ কোটি টাকা।
এদিকে মহান মে দিবসে বন্দরে একটি হাসপাতাল নির্মাণের দাবি জানিয়েছে শ্রমিকরা। ঝুঁকিপূর্ণ পণ্য খালাসে নিরাপত্তা সরঞ্জাম ও চিকিৎসার জন্য একটি হাসপাতাল আজও পাননি বেনাপোল বন্দর শ্রমিকরা। শরীরের রক্ত ও ঘাম ঝরিয়ে এ করোনাকালেও রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তারা। তাদের পরিশ্রমেই দেশের সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয় বেনাপোল স্থলবন্দরে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের যাত্রা শুরু হয় ১৯৭২ সালে। আমদানি, রফতানি ও পণ্য খালাসে বন্দরটিতে কাজ করছেন প্রায় দুই হাজার হ্যান্ডলিং শ্রমিক।
এএইচ/ এসএ/
আরও পড়ুন